হুমাইরার ফোন-ল্যাপটপের ডেটা খুলে দিল তদন্তে নতুন দুয়ার

অভিনেত্রী ও মডেল হুমাইরা আসগরের মৃত্যুর তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। করাচি পুলিশ জানিয়েছে, তার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো থেকে ডেটা উদ্ধার করা হয়েছে, যা তদন্তকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হুমায়রার তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাবলেট ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলোর পাসওয়ার্ড লেখা ছিল তার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে। ওই ডায়েরিটি তার মৃতদেহের পাশেই পাওয়া যায়।
হুমাইরার গলিত লাশ গত ৮ জুলাই করাচির ডিফেন্স ফেইজ VI-এর ইত্তেহাদ কমার্শিয়াল এলাকার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানে তিনি সাত বছর ধরে একা বসবাস করছিলেন। আদালতের আদেশে একটি ভাড়া বকেয়া সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে নিযুক্ত বেইলিফ (আদালত থেকে পাঠানো কর্মকর্তা) ফ্ল্যাটে গেলে সেখানে তার গলিত মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানি অভিনেত্রীর মৃত্যু-রহস্য ঘনীভূত, তদন্তে গলদঘর্ম পুলিশ
পাকিস্তানি অভিনেত্রীর মৃত্যু-রহস্য ঘনীভূত, তদন্তে গলদঘর্ম পুলিশ
তদন্তে কী জানা গেল:
পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দুজন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন, আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
হুমাইরা নিয়মিত জিম ও বিউটিশিয়ানের কাছে যেতেন। তার জিম প্রশিক্ষক ও ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তার শেষ দিনগুলোর খোঁজ নেওয়া হবে।
তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, লেনদেন এবং যোগাযোগের রেকর্ড পর্যালোচনা করা হয়েছে। দেখা গেছে, তার পরিচিতির পরিসর ছিল সীমিত—তার যোগাযোগ তালিকা ছিল ছোট, যা একটি ঘনিষ্ঠ বৃত্তের ইঙ্গিত দেয়।
ফ্ল্যাটে কোনো ‘অস্বাভাবিকতা’ নেই
পুলিশের তথ্য মতে, হুমাইরার ফ্ল্যাটে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্ত ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ শেষ হলে। সে অনুযায়ী কেস রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
এর আগে গত ১০ জুলাই সিন্ধু পুলিশের দক্ষিণ অঞ্চলের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) আসাদ রাজা জানান, হুমাইরার মৃতদেহ সম্ভবত ছয় মাস আগের।
তিনি বলেন, ‘ফ্ল্যাটে পাওয়া খাবার ও পানীয়ের মেয়াদ ছিল ২০২৪ পর্যন্ত, আর ফোনে সর্বশেষ মেসেজ ছিল অক্টোবর ২০২৪-এর’। যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে- মৃত্যুর পর দীর্ঘ সময় ধরে লাশ সেখানে পড়ে ছিল।