ঢাকা শনিবার, ১২ই জুলাই ২০২৫, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২


ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান


১১ জুলাই ২০২৫ ১৯:১৬

সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে এখতিয়ার বহির্ভূত দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

 

শুক্রবার বাদ জুমা কাশ্মীর, ফিলিস্তিন ও আরাকানের স্বাধীনতার দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ থেকে দলটি এ ঘোষণা দেয়। এ সময় দলটির নেতারা ফিলিস্তিন, কাশ্মীর ও আরাকানের মুসলমানদের রক্ষায় জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয়তার তীব্র সমালোচনা করেন।

 

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মুভমেন্ট ফর প্যালেস্টাইন বাংলাদেশের সমন্বয়ক মো. হারুন অর রশিদ খান, বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও ওয়াসিম আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব জিহাদী ইহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

 

বক্তৃতায় মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণ জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি প্রদানের অধিকার দেয়নি। এটি জনগণের আগস্ট বিজয়ের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।

 

তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কোনো দেশে পশ্চিমা আগ্রাসন চালানোর পটভূমি রচনা করে। তাই আশেপাশের দেশগুলোতে ভূরাজনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ার সময়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের ভবিষ্যত হুমকি বিবেচনা করে এই কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের চেষ্টা বন্ধ করতে হবে।

 

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের এ নেতা আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ। তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুই বছর ধরে চলা গণহত্যা থেকে রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে। তারা গুজরাটে মুসলিম গণহত্যা রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কাশ্মীরিদের ওপর মানবতাবিরোধী বর্বর আগ্রাসন রোধ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর জাতিগত নিধন রুখতেও তারা কোনো ভূমিকা পালন করেনি।

 

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী অবিরাম গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত গাজায় শহীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৭৬২ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।