ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে জুন ২০২৫, ৫ই আষাঢ় ১৪৩২


আমনের বীজ বিতরণে বিলম্ব, বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা


১৮ জুন ২০২৫ ২২:৪২

ফাইল ফটো

ধানের জেলা দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল নতুন আমন ধান আবাদের মাধ্যমে অধিক ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নেয় সরকার; কিন্তু সরকারি বীজ পাওয়ার আগেই এলাকার কৃষকরা স্থানীয় জাতের আমন বীজ বপন করে ফেলেছেন।

 

উপজেলা কৃষি বিভাগ বিলম্বে বীজ বিতরণ করায় এখন সরকারি বীজ কোনো উপকারে আসছে না। ফলে সরকার কৃষকের কল্যাণে উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান বীজ বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নিলেও কৃষি দপ্তরের উদাসীনতায় মহৎ উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে।

 

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষকের ফলন ও আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও সাতটি ইউনিয়নের ৩ হাজার ২০০ কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে আমন বীজ ও ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

 

বিতরণের জন্য উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল ব্রি-৪৯, ৫১, ৭৫, ৮৭, ৯৩, ৯৪, ৯৫ ও বিনা ১৭ আমন ধান বীজ নির্ধারণ করা হয়। সোমবার (১৬ জুন) উপজেলা চত্বরে কৃষকদের মাঝে সার-বীজ বিতরণের উদ্বোধনের পর বুধবার (১৮ জুন) পর্যন্ত তিন দিনে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়; কিন্তু এ উন্নত জাতের বীজ পাওয়ার অপেক্ষা করতে করতে ২-৩ সপ্তাহ আগে কৃষকরা স্থানীয় জাতের বীজ বপণ করে ফেলেছেন। ফলে কৃষকরা বিলম্বে প্রাপ্ত সরকারি বীজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। 

 

বুধবার (১৮ জুন) বীজ নিতে আসা উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য জামাল উদ্দিন, মনিরামপুরের কৃষক সেকেন্দার আলী, সোনাজুড়ি গ্রামের রিয়ানুস ও আন্দ্রিয়াস সহ কৃষকরা জানান, এলাকার কৃষকরা অনেক আগেই আমন বীজ বপণ করেছেন এবং চারাও বড় হয়েছে। এখন বিতরণকৃত সরকারি বীজ বপণের কোনো সুযোগ নেই। ফলে কৃষকদের ফলন ও আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিতরণকৃত উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজ মূলত. কৃষকদের কোনো কাজেই আসবে না।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, ঈদের ছুটির এক সপ্তাহে আগে রেজুলেশন (বরাদ্দ) পেয়েছি। কৃষক নির্বাচন ও বিতরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় বেশি লাগায় সার-বীজ বিতরণে বিলম্ব হয়েছে। তার মতে, কৃষকরা ইচ্ছা করলে এখনও বীজ বপণ করতে পারবেন