শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হচ্ছে কবে
-2024-10-07-12-46-07.jpeg)
সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশায় নির্মিত ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের যাত্রীসেবা চালুর উদ্যোগ থমকে গেছে। সম্ভাব্য দিনক্ষণও চূড়ান্ত করতে পারছে না বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রকল্পের বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে দেশ রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীরা। বিশ্বমানের এ টার্মিনাল দ্রুত চালু করার দাবি প্রবাসীদের।
অনেকটা তড়িঘড়ি করে গত বছরের ৭ অক্টোবর সফট ওপেনিং করা হয় শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। কথা ছিল, প্রকল্পের কাজ শেষ করে এক বছর পর চলতি মাস থেকে শুরু হবে যাত্রীসেবা। কিন্তু পুরোটাই এখন ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন।
চূড়ান্ত হয়নি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিদেশি পার্টনার; বাকি মেশিন টু মেশিন সংযোগের কাজও।
অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের ওপেনিং অনুষ্ঠানের ব্যয় ধরা না থাকলেও শুধু রাজনৈতিক বিলাসিতায় মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়েছে বেবিচককে। সে সময় ১০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে জানিয়ে এক বছরে তা শেষ করার কথা বলেছিল কর্তৃপক্ষ।
বেবিচক সূত্র বলছে, বছর পার হলেও চূড়ান্ত হয়নি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিদেশি পার্টনার; বাকি মেশিন টু মেশিন সংযোগের কাজও।
টার্মিনালের ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার অবকাঠামো দৃশ্যমান হলেও সেবা কবে নাগাদ শুরু হবে? এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরাও।
কথা ছিল, প্রকল্পের কাজ শেষ করে চলতি মাস থেকে শুরু হবে যাত্রীসেবা।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, উদ্বোধনের পর অনেকদিন পার হয়ে গেছে। এখনো কিন্তু বুঝতে পারছি না, কবে নাগাদ সেবা শুরু হতে পারে। এটির সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু জড়িত। তাই এই জায়গাটাতে হাত দেওয়া দরকার।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি দ্রুত চালু হলে শুধু সরকারের লাভ নয়, নতুন গতি পাবে এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পও।
ট্যুর হাব ট্র্যাভেলসের সিইও সুলতান মাহমুদ বলেন, ফ্লাইট বেশি কভার করতে পারলে আরো অনেক এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে আসবে। এতে পর্যটনশিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বেবিচকের অভিযোগ, প্রকল্পের ওপেনিংয়ে শুধু রাজনৈতিক বিলাসিতায় মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়েছে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ করে তৃতীয় টার্মিনাল চালুর দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরাও। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশায় নির্মিত এ টার্মিনাল শুধু যাত্রী পারাপারের জন্য নয়, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রাজস্ব আয়ে গতি বাড়ানো ছাড়াও এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।