ঢাকা রবিবার, ২৯শে জুন ২০২৫, ১৬ই আষাঢ় ১৪৩২


দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটার প্রয়োজনীয়তা আছে: ওবায়দুল কাদের


১৩ জুলাই ২০২৪ ১৫:২৩

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটার প্রয়োজনীয়তা আছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবি ও বক্তব্য সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিরোধী। কোটা নিয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটার প্রয়োজনীয়তা আছে। একটা কুচক্রী মহল কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘গেল কয়েকটি বছরে কোটা না থাকায় নারীদের অংশগ্রহণ হতাশাজনক। পিছিয়ে পড়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও।’ 

 

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্য বাংলাদেশে কোটায় নিয়োগ সবচেয়ে কম। ভারতের ৬০ শতাংশ, পাকিস্তানের ৯২ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালে ৪৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৫০ শতাংশ চাকরিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ৬০ শতাংশ কোটা চালু আছে।’ এ সময় অবশ্য মন্ত্রী বাংলাদেশে কোটার পরিমাণ বা হারের কোনো তথ্য দেননি। 

 

সংবাদ সম্মেলনের আগে পেনশন নিয়ে আন্দোলনরত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আখতারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ১৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। 

 

এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, ‘পেনশন স্কিম ২০২৪ না,২০২৫ এ নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল—তা দূর হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম।’ শিক্ষকদের অন্যান্য দাবিনামা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে।’ 

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।