মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধীদের ‘আনফ্রেন্ড’ করলেন ঢাবি অধ্যাপক

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটাকে যারা সমর্থন করেন না তাদের ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। এছাড়া, যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা সমর্থন করে না তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না পাঠাতেও অনুরোধ জানান তিনি।
শুক্রবার (১২ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আপনারা যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সমর্থন করেন না, তারা আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। আর সবাইকে আনফ্রেন্ড করা হয়েছে।
কমেন্টবক্সে আকরাম হোসাইন নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী লিখেছেন, ৩০ লাখ শহীদের পরিবারের জন্য কোটা কই? তাদের তালিকা বের করে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না?
মোজাম্মেল হক নামে এক শিক্ষার্থী লেখেন, আপনাকে কোন পাগলে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখবে?
ইবরাহীম আলম ইমন নামে একজন লেখেন, আপনি বুঝেন নাই ব্যাপারটা আসলে। এরা সবাই এখন আরেকটা যুদ্ধ চায় যাতে সবাই কোটা পায়। আপনে ব্যবস্থা করলে এরা উপকৃত হয়, আর আপনি হবেন মহান।
এর আগে, গত ৬ জুলাই বর্তমানে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহ-শিক্ষামূলক বিতর্ক সংগঠন সোসিওলজিক্যাল ডিবেটিং সোসাইটি (এসডিএস)-এর সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনকে অব্যাহতি দিয়ে শাস্তি প্রদান করেন সংগঠনটির মডারেটর অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন। এর প্রতিবাদে সংগঠনটিতে থাকা ২০২১-২২ সেশনের ২২ জন বিতার্কিক একযোগে পদত্যাগ করেন।
এ ছাড়া গত ২৬ জুন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশন চলাকালে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার যৌক্তিকতা বোঝাতে পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালের একটি আয়াতকে ‘প্রমাণ’ হিসেবে দেখিয়ে বক্তব্য দেন ঢাবির এ অধ্যাপক। এ সময় তিনি ২০১৮ সালে সংগঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করেন।