বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে বিশ্ব মিডিয়ার ভূমিকা ছিল পেশাদারিত্ব

মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার সেই শুরু থেকেই বিশ্ব মিডিয়ার ভূমিকা ছিল পেশাদারিত্ব আর দায়িত্বশীলতা পূর্ণ। সব গণমাধ্যমেই ১৯৭১ মূর্ত হয়েছে বস্তুনিষ্ঠভাবে।
খোদ করাচির সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস প্রোপাগান্ডা ছড়াতে সহযোগিতার বদলে তুলে ধরেন আসল চিত্র। পূর্ব বাংলায় ১০ দিন থেকে তিনি প্রতিবেদন করলেন যুদ্ধাপরাধের নানা তথ্য নিয়ে। ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে সেটি ছাপা হয় দ্য সানডে টাইমসে। ৭১ এর ১৩ জুন প্রকাশিত সেই লেখা বিরাট ভূমিকা রাখে ইতিহাস বদলে দিতে।
তারও আগে একাত্তরের এপ্রিলে ফ্রান্স টেলিভিশনের সাংবাদিক ফিলিপ আলফন্সি'র প্রতিবেদনে বিশ্ব দেখে পাক বাহিনীর গণহতার চিত্র।
একই সময় থেকে পাকিস্তান বিষয়ে মার্কিন নীতির সমালোচনায় মুখর থেকেছে সেদেশেরই নিউইয়র্ক টাইমস, নিউজ উইক, ওয়াশিংটন পোস্ট, টাইম এবং নামি-দামি আরো সব কাগজ।
প্রতিবেশি দেশ ভারতের সংবাদপত্রের পাশাপাশি বাঙালির মুক্তির আকাঙ্খাকে দারুণভাবে তুলে ধরে আকাশবাণী। এ বেতার কেন্দ্রের দেব দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবদন্তি হয়ে আছেন মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য।বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও অস্ট্রেলিয়া, রেডিও জাপান। বিবিসি হয়ে ওঠে যুদ্ধ সংবাদের নির্ভরযোগ্য ও প্রিয়তম মাধ্যম।
বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের এই বয়ানকেই আমরা তুলে ধরতে চাই নতুন প্রজন্মের কাছে।
গণমাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার (জিএমপি) এর প্রথম আয়োজন 'বিশ্ব গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ' শীর্ষক বিশেষ বক্তৃতা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আগারগাঁওয়ে সেমিনার হলে এই বক্তৃতা প্রদান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন।
মুক্ত আলোচনায় অতিথি ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংবাদিক হারুন হাবীব, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান নুজহাত চৌধুরী। আয়োজনটি সহযোগিতা করছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
পুরো অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরিবার (জিএমপি)সংস্থার চেয়ারপার্সন মহিম মিজান।