ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে থাকছে ১৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

আসন্ন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মাঠে থাকছেন ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের ১৯০ ঢাকা-১৭ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ওই নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্যে ১ জুন ২০২৩ তারিখে সময়সূচির প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ১৭ জুলাই সোমবার ওই আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এবং প্রাসঙ্গিক আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ এবং নির্বাচনী অপরাধ রোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্তে বর্ণিত নির্দেশনার আলোকে ১৫ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯, ২০ এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনের নির্বাচনে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মূল কাজ হবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। ১৬ থেকে ১৮ জুলাই ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. এ আরাফাত (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) (একতারা), জাতীয় পার্টি সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন (ডাব), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন (ছড়ি), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল) ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ)।
এদিকে সোমবার (২৬ জুন) তারা প্রতীক পেলেও মঙ্গলবার (২৭ জুন) থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার কাজ। ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে অর্থাৎ আগামী ১৫ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত তারা প্রচার চালাতে পারবেন।