ঢাকা রবিবার, ২০শে জুলাই ২০২৫, ৬ই শ্রাবণ ১৪৩২


ঢাকা-১০ উপ-নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের মহিউদ্দীন


২২ মার্চ ২০২০ ০৩:২৩

ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৫ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম। তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৮১৭ ভোট পেয়েছেন।

অন্য চার প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির মো. শাহজাহান লাঙ্গল প্রতীকে ৯৭ ভোট, মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী হারিকেন প্রতীকে ১৫ ভোট, পিডিবির কাজী মো. আব্দুর রহিম বাঘ প্রতীক নিয়ে ৬৩ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ডাব প্রতীক নিয়ে ১৮ ভোট পেয়েছেন।

শনিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেটের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় মহিউদ্দীনকে। ফলাফল ঘোষণা করেন ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার জিএম শাহাতাব উদ্দিন।

তিনি জানান, ঢাকা-১০ আসনের ১১৭টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৫টি। এ হিসেবে আসনটিতে গড় ভোটের হার ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

তবে উপ-নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার তিনঘণ্টা আগেই ফলাফল আগাম প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি।

তার অভিযোগ, ‘যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, সেই নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এ নির্বাচনে যদি আমাকেও বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, তাহলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ এ নির্বাচনে কোনো ভোটার ভোট দেননি।’

এর আগে সকাল ৯টা থেকে এর ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলেও করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভোটার উপস্থিতি অন্যান্য ভোটের তুলনায় অনেক কম ছিল নির্বাচনটিতে। যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল প্রতিটি কেন্দ্রে।

ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়েছে এবার। এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭। নারী এক লাখ ৪৩ হাজার ৫০৪ জন।

ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন শেখ ফজলে নূর তাপস। গত ১ ফেব্রুয়ারি সিটি নির্বাচনে ডিএসসিসির মেয়র পদে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি এই আসন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

নতুন সময়/এআর