স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনও সীমিত, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের প্রভাবে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আয়োজনও সীমিত থাকছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সীমিত করার সিদ্ধান্তের একদিন পরে বুধবার (১১ মার্চ) সরকারের এ সিদ্ধান্ত জানালেন তিনি ।
বিশ্বের ১১৯টি দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের খবর মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দু’জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে বুধবারই জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
বুধবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ২৫ মার্চ রাত ৯টায় এক মিনিটের জন্য সারাদেশে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে জরুরি স্থাপনাগুলো এর বাইরে থাকবে। ওইদিন বাইরে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
দেশবাসীকে এদিন এক মিনিটের জন্য বাতি নিভিয়ে রাখার অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণজমায়াতের ব্যাপারে আমরা নিরুৎসাহিত করছি।‘
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২৫ ও ২৬ মার্চে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে করা হবে। সাভার স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যাবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেখানেও অতিথি থাকবেন সীমিত। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল ও জেলখানায় উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সিদ্ধান্ত জানাবেন। এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পিএম অফিস সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে তোপধ্বনি হবে। একেক জেলায় একেক সময় হবে। তবে এটা একসঙ্গে করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি। তারা সময় নির্ধারণ করে দেবে।’
এআর