ঢাকা শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই ২০২৫, ২১শে আষাঢ় ১৪৩২


যে আটটি লক্ষ্যে বিডিআর বিদ্রোহ!


৯ জানুয়ারী ২০২০ ১০:১৮

পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনে আটটি লক্ষ্য রয়েছে বলে হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে এই ৮টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন এই বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। এদের মধ্যে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর দেওয়া পর্যবেক্ষণে ৮টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। যা বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি অনুমোদন করেছেন।

পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ রাইফেলসের বিভাগীয় কতিপয় উচ্চাভিলাষী সদস্য ও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা ও উসকানিতে সাধারণ ও নবাগত সৈনিকরা প্ররোচিত ও বিভ্রান্ত হয়ে বিদ্রোহ করেছে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল-১) সেনা কর্মকর্তাদের জিম্মি করে যেকোনো মূল্যে দাবি আদায় করা। ২) বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করে এই সুশৃঙ্খল বাহিনীকে অকার্যকর করা। ৩) প্রয়োজনে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে নির্যাতন ও হত্যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিডিআরে প্রেষণে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করা। ৪) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে সাংঘর্ষিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা। ৫) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৮ দিনের নবনির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের প্রয়াসে অস্থিতিশীলতার মধ্যে দেশকে নিপতিত করা। ৬) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা। ৭) বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। এবং ৮) জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বিডিআরের অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় দেশের অন্যান্য বাহিনীর অংশগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত করা ইত্যাদি।

নতুনসময়/আইকে