ঢাকা শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই ২০২৫, ২১শে আষাঢ় ১৪৩২


দেশে মাদক নিয়ন্ত্রনে তিন ভাগে কাজ করা হচ্ছে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


৩ জানুয়ারী ২০২০ ০১:৫৬

ফাইল ফটো

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রনে আমরা তিনভাবে কাজ করছি, ডিমান্ড হ্রাসে কাজ করছি, সাপ্লাই হ্রাসে কাজ করছি এবং সর্বপরি মাদকাসক্তদের পুনরায় কর্মক্ষম করতে নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করছি। মাদকের ভয়াল থাবায় যাতে বাংলাদেশ শেষ হয় না যায় সেজন্য সকলে মিলে কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। এর বিপরীতে ৮০ হাজারের ওপর বন্দি রয়েছে কারাগারে। যার বেশিরভাগই মাদকের আসামী। মাদক মামলা নিস্পত্তির জন্য আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ মাদকের চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশে মাদক ঢোকার পর পাচার হওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ থেকে যাচ্ছে।

যতবারই কথা বলেছি, মায়ানমার ততবারই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কাজ করছে না। যার ফলে ইয়াবা নামক ভয়াল নেশার হাত থেকে যুবক যুবতীরা রক্ষা পাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, চীন একটি আফিম খোরের দেশ ছিল। আফিম খেয়ে চীনের লোকজন দিনের পর দিন ঘুমিয়ে থাকতো। সেখান থেকে মাও সেতু টেনে নিয়ে চীনকে আজকে কোথায় নিয়ে গেছে। আমরাও পারব মাদককে রুখে দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে।

মাদককে রুখবো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো শ্লোগান দিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহীদুজ্জামান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু হয় তা থামবে না। চলমান থাকবে। মাদক কর্মক্ষম মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। কর্মক্ষমতা না থাকলে দেশ পিছিয়ে যায়। আমরা তা কোনোভাবেই সফল হতে দেবো না। মাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এগিয়ে না আসলে কোনো বাহিনী বা অধিদফতরের পক্ষে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়।