ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৩রা জুলাই ২০২৫, ২০শে আষাঢ় ১৪৩২


মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে স্বাধীনতাবিরোধী খোঁজার আহ্বান জানালেন টিপু


২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:৪৭

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে তা নিয়ে বিতর্ক যেন শেষ হচ্ছেনা। তালিকায় রাজাকারের তুলনায় স্বাধীনতাস্বপক্ষের লোক বেশি। সেখানে স্থান পেয়েছে প্রধান মুক্তিযোদ্ধাদের নাম। তাই রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে ওই তালিকা স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানান তিনি। টিপুর সাথে একমত হয়ে অন্যদিকে এমন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কেউ স্বাধীনতাবিরোধী আছে কিনা সেটি খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। জেয়াদ বলেন, দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা খুশি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আরও গভীরভাবে ধারণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা আছে কিনা তা খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে যারা সাজাপ্রাপ্তদের তালিকা, বীরাঙ্গনাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে আছে কিনা, সে প্রশ্নও রাখেন তিনি। একই সঙ্গে বলেন, যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারলে সরে যাওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানকে বিভিন্ন উপায়ে সহযোগিতা করেছে, সেসব রাজাকার আলবদর ও আলশামসের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিজয় দিবসের আগের দিন (১৫ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের নামের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ তালিকায় অনেক নামকরা মুক্তিযোদ্ধার নাম ঢুকে পড়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে কয়েকদিন ধরেই। রাজাকারের তালিকায় নাম ওঠে বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ও বন্ধু মজিবুল হক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর, যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও ভাষাসৈনিক। এটি এ তালিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে দুঃখ প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এর পর বিতর্কের মুখে বুধবার ওই তালিকা স্থগিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। জানানো হয়, পরে যাচাই-বাছাই করে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।