জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠে পিটুনি খেলেন অধ্যক্ষ

জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠে বিজয় দিবসের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করলেন উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু তাহের। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উপস্থিত লোকজন তাকে পিটুনি দেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্বরে শহীদ মিনারে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরে তাকে উদ্ধার করে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন কলেজের হিসাব রক্ষক শামসুল আলম।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের তার সহকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে যান। এ সময় তিনি জুতা পায়ে পুষ্পার্ঘ্য হাতে নিয়ে শহীদ মিনার বেদিতে ওঠেন। এ সময় তার সহকর্মীরা জুতা খুলে উঠতে বললেও তিনি জুতা খোলেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. আবু তাহেরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জুতা পায়ে ওঠার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘অজান্তে জুতা পায়ে উঠেছি। তাতে আপনাদের কোনো সমস্যা?’ এরপর তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন। এদিকে, জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠার ছবি মুহূর্তে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে তাকে রাজাকার বলে মন্তব্য করতে থাকেন।
এ বিষয়ে উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তার বংশে রাজাকারের রক্ত বইছে। তা নাহলে এমন করার কথা নয়। তিনি অবিলম্বে তার অপসারণ ও এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, ‘শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা। আমি তার এ আচরণের নিন্দা জানাই। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’ এ ব্যপারে কুড়িগ্রাম- ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না, তাদের কোনো না কোনো কর্মের মধ্য দিয়ে সেই চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’