আশুলিয়ায় তাজরিন গার্মেন্টস অগ্নিকান্ডের সাত বছর নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন

শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ স্কপ ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল আইবিসির ব্যানারে সাভার ও আশুলিয়া সমন্বয়ক শ্রমিক নেতা এডভোকেট মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে আগুনে পুড়ে ১১৩ জন শ্রমিক নিহতের স্বরণে মোমবাতি পজ্জল করেছে শ্রমিক সংগঠন, হতাহত শ্রমিক ও স্বজনরা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া জরাজীর্ণ ভবনের সামেন মোমবাতি জ্বালিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা।
এসময় নিহতের সংখ্যা অনুযায়ী মোট একশত ১৩ টি মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে পরে তাজরীনের আশপাশ এছাড়া নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বলন করতে আসা শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও শ্রমিকরা দাবি করেন- তাজরিন ও রানা প্লাজা সারাদেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আইএলও কনভেনশন ২১২ এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা আইন ১৮৫৫-এর ভিত্তিতে শ্রমিকদের সারা জীবনের ক্ষতির ভিত্তিতে ক্ষতির ভিত্তিতে ও বিভিন্ন দুর্ঘটনা আদালতের আদেশ পত্র ক্ষতিপূরণের বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া একটি জাতীয় মানদন্ড তৈরি করতে হবে। এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ), ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি), বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।