ঢাকা বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫, ১৮ই আষাঢ় ১৪৩২


সড়ক আইনে কোনো বাড়াবাড়ি হবে না: কাদের


২২ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:১১

সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডীস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যাবলয়ে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতির সাংস্কৃতিক উপ কমিটির এক বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ট্রাক ও কভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলেও বাস চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আর কোন কারণ নেই। আইন প্রয়োগে অহেতুক বাড়াবাড়ি হবে না।বাড়া্বাড়িটা না হলে সমস্যাও হবে না। আর সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি গাইড করছেন, পুলিশের উধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি শিউর করেছেন যে, তারা সঠিক ভাবে আইনের প্রয়োগে যাবে।”

“আইনের মধ্যে প্রয়োগ করতে যদি কিছু অসংঘতি হয়, তাহলে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে,আমরা আইনের বিধিমালাও প্রণয়ন করছি। সেটাও আমরা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখবো।

“পরিস্থিতি এখন আর অস্বাভাবিক হওয়ার কোন কারণ নেই। সব কিছুই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। ট্রাক ও কভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তারা জনস্বার্থে ধর্মঘট তুলেছে।”

আইনের বিধিমালা প্রণয়ন হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “আইনটাই সব কিছু নয়, বিধি তৈরি হচ্ছে, প্রায় শেষ পর্যাায়ে। বিধি পেলে এসব নিয়ে আর কোন সংকট থাকবে না। জেব্রা-ক্রসিং, সাইন এন্ড সিগনাল এগুলো বিধিতে আছে। মূল বিষয়টা হলো শৃঙ্খলা, সড়কে ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। সেটা হচ্ছে আমাদের টার্গেট, আর সেটাই আমোদের ফোকাস।”

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের সরকার ব্যর্থ বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির নেতেবিাচক রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারা নাজুক অবস্থায় নিপতিত। এখন নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে অনেক মিথ্যা কথা বলতে হয়। সরকার বিরোধী কথাবার্তা বলতে হয়, এগুলো বলার জন্যই বলছে, বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করছে।

“যেই নেত্রীর কথা বলে আমাদের উপদেশ দেওয়ার কথা বলছেন, সেই নেত্রীর জন্য একটা আন্দোলনও কোথাও করতে পারেনি। এখন ব্যাপরোয়া চালকের মত তারা ব্যাপরোয়া রাজনীতি করছে। ব্যাপরোয়া চালকের মত যে কোন সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে।"

বিএনপি চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা জানে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, এ জন্য তারা এখন চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে।"

“তাদের এখন কাজই হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব সৃষ্টি করা, গুজবের ডাল পালা ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। এই দলটা সব সময় কোন একটা ইস্যু খোঁজে আন্দোলন করার জন্য। যখনই যেটা পায় সেটাকে আকড়ে ধরে।”

“সব শেষ পরিবহনেও ব্যার্থ। এখন তারা হতাশ। তাদের রাজনীতি গুজবের উপর ভর করে। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে গুজব ছাড়ানোর। এর ফলে দিনের পর দিন কেবল সংকোচিত হচ্ছে তারাই।