৯ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা বন্ধে প্রজ্ঞাপন জারি

আগামী ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই সময়ে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ।

এ সময়ে মা ইলিশ ডিম পাড়ে। এ সময়ে ডিম পাড়ে ৮০ শতাংশ ইলিশ। আর এই ডিম পাড়ে মূলত মিঠা পানিতে। তাই আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন মোট ২২ দিন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীর মোহনাসহ যেসব জেলা ও নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়, সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।

আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার সময় যেসব জেলার জেলেরা মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল, তাঁদের খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ সময়ে মাছ পরিবহন, গুদামজাতকরণ, বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। এটা তখন বেআইনি হবে।নিষিদ্ধ সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের মাছ ধরার ট্রলার আমাদের সমুদ্রসীমা থেকে ইলিশ নিয়ে যায়, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে বাইরের কোনো জাহাজ আসতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এর ফলে আমাদের মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছের যে আকাল ছিল, সেটা কমেছে। ইলিশ মাছে হাটবাজার সয়লাব হয়ে গেছে। সমুদ্রসহ নদীর মোহনাগুলোতে মাছের বিচরণ বেড়েছে।‘আমরাও এত শক্তিশালী ছিলাম না। এখন আমাদের জরিপ জাহাজসহ অনেক জাহাজ রয়েছে, হেলিকপ্টার রয়েছে, রাডার রয়েছে- এগুলো আমরা সব সময় ব্যবহার করি। আমাদের দেশে যখন মাছ ধরা বন্ধ থাকে, তখন কোনো মাছ ধরা ট্রলার আমাদের দেশে ঢুকতে পারে না।

 

---