৩০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।শনিবার বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য এয়ার আহমদ সেলিম জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে পার্টিতে যোগ দেন। যোগদান উপলক্ষে এক সভায় জিএম কাদের এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলে দলের নেতাকর্মীরাই জাতীয় পার্টির আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তই আমি মেনে নেবো জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলে দলের নেতাকর্মীরাই জাতীয় পার্টির আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তই আমি মেনে নেবো।
পদ-পদবী বা ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য আমি রাজনীতি করিনা। দেশ, দেশের মানুষ ও জাতীয় পার্টির জন্য আমাদের রাজনীতি। কোন লোভ-লালসার জন্য আমাদের রাজনীতি নয়। যোগদান উপলক্ষ্যে এক সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। এসময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম জাতীয় পার্টির দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক শুন্যতায় দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের নতুন প্রজন্মের সামনে রাজনীতি করার অন্যতম প্লাটফর্ম হচ্ছে জাতীয় পার্টি।
তাই এখনই দলকে আরও শক্তিশালী করতে পারলে আগামী দিনের রাজনীতিতে এবং দেশ পরিচালনার প্রতিযোগিতায় জাতীয় পার্টি আরো এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সারাদেশে দলকে আরও শক্তিশালী করতে আট বিভাগে ৮টি সাংগঠনিক টিম করা হয়েছে এবং সাংগঠনিক টিমের পরার্মশ অনুযায়ী দলকে আরও বেগবান করা হবে। জাতীয় পার্টি পার্টির গঠনতন্ত্র এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশনায় চলছে। জাতীয় পার্টিতে বিভেদের অবকাশ নেই। বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই জাতীয় পার্টিতে। বিশৃঙ্খলার সুযোগ জাতীয় পার্টিতে থাকবেনা। সঠিক পথে ও সুশৃঙ্খলভাবে জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতীয় পার্টির ওপর বারবার আঘাত এসেছে। নানা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুইবার পাঁচটি করে আসনে জয়ী হয়েছেন, এটা ইতিহাস। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার অবর্তমানে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন। এটা গঠনতন্ত্র মোতাবেকই হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমাদের মায়ের মতো। তিনি আমাদের অভিভাবক। আমরা বিশ্বাস করি কিছু মানুষের পরামর্শে বেগম রওশন এরশাদকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা। বেগম রওশন এরশাদ অবশ্যই অনুধাবন করবেন এবং জাতীয় পার্টির এগিয়ে চলার রাজনীতিতে আমাদের অভিভাবক হয়েই থাকবেন। যোগদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, এ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এন এম শফিকুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।
দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদের উপস্থাপনায় যোগদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আখতার এমপি, মেজর অব. রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, উপদেষ্টা মো. নোমান, ড. নুরুল আজহার, ভাইস চেয়ারম্যান-সরদার শাহজাহান, মো. দেওয়ান আলী, আহসান আদেলুর রহমান এমপি, জহিরুল আলম রুবেল, শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, সুলতান আহমেদ সেলিম, সম্পাদক মন্ডলী- নির্মল দাশ, আমির হোসেন ভূঁইয়া, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. হেলাল উদ্দিন, খোরশেদ আলম খুশু, হুমায়ুন খান, লে.ক.(অব.) সাব্বির আহমেদ, মঞ্জুরুল হক, জাকির হোসেন মিলন প্রমুখ।