‘পশুর হাটে ডেঙ্গু রোগ রোধে নেই ব্যবস্থা’

আর কয়েকদিন পর ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসেছে পশুর হাট। অনেক হাটেই নেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা। এমন অভিযোগ গরু বিক্রি করতে আসা ব্যাপারী ও বিক্রেতাদের।
বুধবার নতুনবাজার সংলগ্ন পশুর হাটে গিয়ে সরজমিনে এমন দুর্ভোগ দুর্দশার কথা শোনা যায়। ঝিনাইদহে থেকে আসা গরু বিক্রেতা আরাফাত হোসেন নতুন সময়কে বলেন, আমি ২০টি গরু নিয়ে এসেছি গতকাল। কিন্তু মশার যন্ত্রণায় এক জায়গায় থাকতে পারছি না। এই জায়গায় কি মশার কোন ওষুধ দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই জায়গায় ঠিকমত লাইট জ্বলছে না আর ওষুধ তো দূরের কথা। আমার নিজেরই কয়েল এবং মশা ওষুধ ব্যবহার করছি।
কুষ্টিয়ার অপর একজন বিক্রেতা বলেন, আমি এইবার ৪০টি গরু নিয়ে এসেছি। গত দুইদিন আগে আমি এই জায়গায় আসছি। কিন্তু কোন ধরনের মশার ওষুধ দিতে দেখি নাই। আমরা আতঙ্কে আছি। এজন্য সঙ্গে মশারী নিয়ে আসছি। দিনের বেলায় মুশারি টাঙ্গিয়ে রাখি।
কুষ্টিয়া থেকে আসা আারেকজন মো: লালন বলেন, আমি এই বার ১৩টি গরু নিয়ে এসেছি হাটে। শুধু তারা মাশার ওষুধ নিয়ে এসে সামনে দিয়ে মেরে চলে যায় ভিতরে ঢুকে না।
কুরবানীর পশু দেখতে আসা মারুফ নতুন সময়কে বলেন, বর্তমানে রাজধানীর জুড়ে রয়েছে ডেঙ্গু মশার আতঙ্ক। এই অবস্থা এই জায়গায় পুরো সাইট দিয়ে কচুরীপানায় ভরা। জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে। এই সব জায়গায় ডেঙ্গু মশার বেশি জন্ম হয়। এই জায়গায় ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুজনই হুমকির মুখে আছে।
কুরবানীর পশুর বিক্রি করতে আসা অনেকেই বলেন, যে এই জায়গায় ঠিকমত ক্যারেন্ট নেই এবং লাইট জ্বালে না। রাত হলে পুরো জায়গাটা অন্ধকার হয়ে যায়। এই হাটের ইজারাদার ইকবাল হোসেন খন্দকার নতুন সময়কে বলেন, এই জায়গায় ৩৯ , ৪০, ১৮, তিন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর আমার এক সাথে কাজ করছি। আমার সব জায়গায় মশার ওষুধ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশপাশের জোয়ারে পানি সেই জায়গায় তো আর আমাদের পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। আশা করি আগামীকাল এবং পরশুদিনের ভিতরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
৪০নং ওয়ার্ডে কমিশনার হাজি নজরুল ইসলাম ঢালী নতুন সময়কে বলেন, আমার সকাল বিকেল দুইবার মশার ওষুধ দিচ্ছি। প্রতিদিন এই ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি। সব জায়গায় ঠিকমত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে কি না।
এই হাঁটে মোট ৩২টি সিসি ক্যামেরার লাগানো হয়েছে। হাটকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।