রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ

ঈদুল আজহা উদযাপন করতে শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীতে বসবাস করা মানুষ। বুধবার ভোরে বাস-ট্রেন-লঞ্চে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে তারা।
গত ২৯ জুলাই যারা ট্রেনের আগাম টিকিট ক্রয় করেছেন, তারাই বুধবার প্রথম বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। মূলত বুধবার থেকে রেলের ঈদসেবা শুরু হলো। সকাল ৬টায় রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কিছুটা দেরি করেই কমলাপুর ছাড়ে।
বুধবার ভোর থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের বেশ ভিড় দেখা যায়। সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেনে উঠতে পারলেও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে বদলে যায় ট্রেনের চিত্র। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনগুলো। যাত্রীর চাপে পরিবার-পরিজন নিয়ে ট্রেনে উঠতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষকে।
কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে তিনটি ঈদ স্পেশালসহ মোট ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেন। যেগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৮৫টি।
এদিকে একইদিনে দূরপাল্লার বাসেরও ঈদ সার্ভিস শুরু হয়েছে। ২৯ জুলাই টিকিট কেনা যাত্রীরা বুধবার ঈদে বাড়ি ফেরার যাত্রা শুরু করছেন। বিশেষ করে গাবতলী বাস টার্মিনালে উত্তরবঙ্গ ও বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ভোর থেকেই গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়তে শুরু করেছে। বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের স্রোত লক্ষ করা গেছে।
তবে যাত্রীরা টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। যদিও ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর তিন বড় বাস টার্মিনালেই কমিটি করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। কিন্তু অপরিকল্পিত পার্কিংয়ের কারণে টার্মিনাল থেকে বাস বের হতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে।
এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকেও মঙ্গলবার রাত থেকেই বিভিন্ন গন্তব্যের লঞ্চ ছেড়ে গেছে। বুধবার ভোরেও অনেক লঞ্চ ঘাট ছেড়ে গেছে। দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের ২৩টি জেলার মানুষ নদী পথেই বাড়ি ফিরবেন। পটুয়াখালীগামী যাত্রী রেজওয়ান বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চ ছাড়বে সকালে, তাই রাতেই এসে টিকিট কেটেছি।
রেল, বাস ও নৌ টার্মিনালে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব স্থানে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।