এবার ডেঙ্গুর ঔষধ নিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতারণা ঠেকালেন ভোক্তা অধিকারের সেই মঞ্জুর

ডেঙ্গু আতঙ্কে দেশবাসী। এডিস মশা থেকে বাঁচতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে মানুষ। এরমধ্যে মশা তাড়ানোর একটি জনপ্রিয় মলম ‘ওডোমস’। এ ঔষধটি শরীরে মেখে নিলে বেশ কয়েকঘণ্টা মশা ধারে কাছেও আসবে না-এ বিশ্বাসে ফার্মেসিগুলোতে ঔষধটি কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। আর এ সুযোগটাই নিচ্ছেন অসৎ ব্যবসায়ীরা।
১২৫ টাকা দিয়ে কেনা হলেও এ ঔষধটি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন তারা। ক্রেতা সেজে এ ঔষধ কিনেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আর হাতেনাতে পেয়েছেন বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ। এই অপরাধে সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর কলাবাগানের তিনটি ফার্মেসি।
এছাড়া একই অপরাধে রাজধানীর গুলশানের ওয়েল বিং নামের আরেকটি ফার্মেসিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া অভিযানে অংশ নেন, সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান, আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ অন্য কর্মকর্তারা।
এসময় মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, এ ঔষধটির মূল্য হঠাৎ করে বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। আমি সকালে এখানে লোক পাঠিয়েছি। তারা ক্রেতা সেঝে এটি কিনেছে। বিক্রেতারা কোনো ভাউচার দেয় নি। তারা বেশি দামে এটা বিক্রি করছেন, কৃত্রিম সংকটও তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঔষধটির ক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা হলেও ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। তাই সুইচ ফার্মেসিসহ ৩টি ফার্মেসি ২৪ ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওয়েল বিং ফার্মেসিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আলোচিত এ ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ব্যবসায়ীরাও সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তি। আমরা চাই না কেউ জেলে যাক। মানুষের এ কষ্টের দিনে এ নৈরাজ্য করবেন না। এরকম দুঃসময় আপনার পরিবারেও আসতে পারে। তাই আপনারা শুধরে যান।
এসময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, অতিরিক্ত মূল্য নেয়া চলবে না। যারা এসব অনৈতিক কাজ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অভিযোগে অফিসার্স ক্লাব ও পাঞ্জাবির দাম বেশি নেয়ায় আড়ংকে জরিমানা করেন মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এরপর গত ৩ জুন তাকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এরপরই গুঞ্জন ওঠে, আড়ংকে জরিমানা করায় বদলি করা হয় তাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। সমালোচনার মুখে ৪ জুন বদলি আদেশটি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।