ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২


কারাগারই হলো খালেদার আদালত


৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:১২

কারাগারের ভেতরে বসছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের বিশেষ আদালত। নিরাপত্তার কারণেই এ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে একটি বিশ্বাস্ত সুত্র জানিয়েছেন।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার ৭ নম্বর কক্ষে নতুন এই এজলাসে খালেদার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করবেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।

কারাগারে আরেকটি ভবনের দোতলার একটি কক্ষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপাসন।আদালতের ভেতরে বিচারের কাজকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে কারাগারের সামনে নাজিম উদ্দিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

চকবাজার মোড়ে, বেগমবাজার মোড়ে ও আবুল হাসনাত রোডেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পথচারীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। সেই সাথে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। ঢাকা মহানগর পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) সানোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ স্বাভাবিকভাবেই সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে।

জিয়া এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজার রায়ের পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত এই কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে রয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী খালেদা।

এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়ের পর খালেদা জিয়াকে মামলার শুনানিতে হাজির করা হয়নি। প্রায় প্রতি তারিখেই অসুস্থতার কথা জানানো হয়েছে কারাগারের পক্ষ থেকে। এ অবস্থায় সরকার কারাগারের ভেতরেই এখলাস বসিয়ে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

এদিকে, বিএনপি কারাগারে আদালত বসানোর সিদ্ধান্তকে ‘সংবিধান পরিপন্থি’ আখ্যায়িত করে বলেছে, তারা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেবে।
জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিল দুদক।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের পর শুরু হয় বিচার।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। সর্বশেষ দিনের শুনানিতে তার জামিনের মেয়াদ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিচারক আখতারুজ্জামান।

এসএমএন