ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪শে জুন ২০২৫, ১১ই আষাঢ় ১৪৩২


সোলাইমানির গায়েবানা জানাজা গাজায়, আমেরিকার পতাকায় আগুন


৬ জানুয়ারী ২০২০ ০৫:১২

মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ইরানের ইসলামিক রেভুলেশন গার্ডসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিরা গায়েবানা জানাজার নামাজ আদায় করেছেন। ফিলিস্তিনিরা শনিবার (৪ জানুয়ারি) গাজা সিটির সৈনিক স্কয়ারে জড়ো হয়ে ইরানের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।

এ সময় ফিলিস্তিনিরা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের পতাকায় আগুন দেয় ও পদদলিত করে। ফিলিস্তিনের বিভিন্ন প্রতিরোধ গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভের সময়ে গাজার ইসলামিক জিহাদ নেতা আহমদ আল-মোদাল্লাল বলেন, সোলাইমানি সরাসরি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন এবং তিনি প্রতিরোধ গ্রুপগুলোকে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, সুলাইমানির হত্যা আমাদের সংকল্পকে আরো দৃঢ় করবে। প্রতিরোধ আন্দোলন তাদের শহীদদের রক্তের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে।

ইসরাইলের শাসন ব্যবস্থার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের নিন্দা জানিয়ে আল-মোদাল্লাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সম্পদ ও সামর্থ্য হরণ করতে চায়। তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক যে বেশ কয়েকটি আরব দেশ সেইসব শক্রদের সাথে হাত মেলাতে চায় যারা আমাদের লোকদের হত্যা করার জন্য সৈন্য মোতায়েন করেছে। অন্যদিকে হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা ইসমাইল রাদওয়ান বলেছেন, সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড মার্কিন বিরোধী জনগণকে আরব ও মুসলিম অঞ্চলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একত্রে দাঁড় করাবে। এরপর তিনি সোলাইমানির হত্যাকে ফিলিস্তিনের পক্ষে বড় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করেন। ইসমাইল রাদওয়ান বলেন, সোলাইমানিকে হত্যা করে ওয়াশিংটন একটি ভুল করেছে, প্রতিরোধ গ্রুপগুলো ফিলিস্তিন সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত তাদের শহীদদের পথে চলা অব্যাহত রাখবে। এদিকে ফিলিস্তিনিরা সোলাইমানি হত্যার তীব্র নিন্দা জানায়। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি তার জোর সমর্থন ছিল বলে জানান আল-নাসের সালাহ আল-দ্বীন ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু মুজাহিদ।

নতুনসময়/আইকে