ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২


২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৭৩


২৪ জুলাই ২০১৯ ১৯:৪৬

ছবি সংগৃহিত

প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে রাজধানীতে। সোমবারের চেয়ে মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ জন বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৩ জন আক্রান্ত হন। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৪০৩ জন। ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি ৪৯ হাসপাতাল এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে এক হাজার ৮২৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী বেশি চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্নেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত যত রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চলতি বছরে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ হাজার ৭৬৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৭ হাজার ৬৭২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৭৭০ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৯০২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে এক হাজার ১৫৫ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৬৬৮ রোগী ভর্তি আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে ৩৯৩ রোগী ভর্তি ছিলেন। অপর দিকে বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৬০ জন ভর্তি আছেন। এরপর পর্যায়ক্রমে মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৮৮, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১১২, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৮৯, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৬৫, বারডেম হাসপাতালে ৩১, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৭২, পিলখানা বিজিবি হাসপাতালে ১৬, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৬৩, ইবনে সিনায় ৪৫, স্কয়ারে ৩৩, সেন্ট্রালে ৬৬, গ্রিন লাইফে ৯, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ৬৭, ইউনাইটেডে ৬৬, খিদমায় ১৮, সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালে ৪৯, অ্যাপোলোতে ৪৭, আদ্‌-দ্বীনে ২৭, ইউনিভার্সেলে ৫৮, বিআরবিতে ২১, আজগর আলীতে ৩৩, উত্তরা আধুনিকে ১৩, সালাউদ্দিনে ২৫ এবং পপুলারে ২৮ জন রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় ১০ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন এবং খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায়, এটি অনেকের ধারণা। এ ছাড়া বিত্তবানরা একটু আরামের জন্য বেসরকারি হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালেরও একটি নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা আছে, তার বেশি হলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়। তাই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া দোষের কিছু নয়।