ঢাকা সোমবার, ১৮ই আগস্ট ২০২৫, ৪ঠা ভাদ্র ১৪৩২


ক্ষমা চেয়েও হতাশ সারিকা


৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:১৯

অবন্ধুসুলভ ও অপেশাদারি আচরণের জন্য মডেল অভিনেত্রী সারিকাকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সারিকাকে নিষিদ্ধ কার্যকর শুরু হয়েছে চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে।

চলতি বছরের ২১ মার্চ নাটকের শুটিংয়ে নেপাল যাওয়ার কথা ছিল মিষ্টি মেয়ে খ্যাত অভিনেত্রী সারিকার। সে অনুযায়ী সারিকা সূচিও নির্ধারণ করেছিলেন। অগ্রিম পারিশ্রমিক ৫০ হাজার টাকা, রিটার্ন টিকেট ও নাটকের চিত্রনাট্য দেওয়া হয়েছিল তাকে।

ঘটনার আগের দিন ২০ মার্চ সারিকার সাথে শুটিং ইউনিট যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সময়মতো বিমানবন্দর পৌঁছবেন। যথারীতি ২১ মার্চ শুটিং ইউনিট নেপালে রওনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর গেলে সারিকাকে পাওয়া যায়নি। তখন যোগাযোগ করলে সারিকার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কোনভাবে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। সারিকা ছাড়াই শুটিং ইউনিট নেপাল পৌঁছায়। তাকে নিয়ে পরিকল্পনা করা নাটকগুলো ভেস্তে যায়। প্রযোজক আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন। এরই ফলশ্রুতিতে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।

তবে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সারিকা। নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন সারিকা। সারিকা বলেন, গত কয়েক মাস আমার জীবনে কঠিন সময় গেছে। সামলে নিতে সময় লেগেছে। আমার মেয়েকে স্কুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছিলাম। আগামী সপ্তাহ থেকে সে স্কুলে যাবে। এরপর আবার হয়তো নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং শুরু করতে পারব।

সেই পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, সরি, পাঁচ অক্ষরের একটা শব্দ। সবার কাছে আজ সত্যি মনের গভীর থেকে মাফ চাইছি- পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী, আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে। কখনো যদি জেনে বা না জেনে এতটুকু আঘাত করে থাকি, অনুগ্রহ করে ক্ষমা করবেন। আমার চারপাশের কঠিন পরিস্থিতি ও শারীরিক সমস্যার কারণে কিছু জটিলতায় ভুগছিলাম। তবে এটাও মানছি, সব তা না। নিজের ব্যাপারেও সতর্ক ছিলাম না, ভুলত্রুটি যতটুকু পারি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ শেখার না আছে শেষ, না আছে বয়স। আজ না হয় পুরোনো কষ্ট মুছে ফেলে নতুন করে শুরু করি সব। আমরা সবাই এক।

কিন্তু সারিকা ক্ষমা পায়নি। মাঝে নাটকের পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নতুন কমিটি গঠন হয়। এর মধ্যে সারিকার কেস নিয়ে ভাবা হয়নি সংগঠনগুলোর। নতুন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তারা বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন। তবে সেক্ষেত্রে দু-পক্ষের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেতে হবে। যার সঙ্গে অপরাধটা হয়েছে। তিনিও যাতে মন থেকে ক্ষমা করতে পারেন সেদিকটাও দেখতে হবে। তবে ছয় মাস তার এ শাস্তি ভোগ করতে হবে কিনা সে ব্যাপারে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারেননি।

এমএ