আশুলিয়ায় পাষাণের নেতৃত্বে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বাইপাইলসহ আসেপাশের বেশ কিছু এলাকায় পাষাণ ও তার সহযোগীদের চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, এক সময় আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ভুইঁয়ার ক্যাডার বাহিনী থাকা অবস্থায় এলাকায় গড়ে তোলেন অপরাধের সাম্রাজ্যে। সেই খোলস পাল্টে পাষাণ তার ঘনিষ্ঠ সহচর ইয়াসিনসহ আরো বেশ কয়েক জনকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের সম্রাজ্ঞ্যে।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির কাউন্টারে থেকে চাঁদাবাজি ও কাউন্টার দখলের অভিযোগ উঠেছে পাষাণ ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
তবে আশুলিয়া থানা যুবলীগ নেতা মঈনুল ভুইঁয়ার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীর প্রধান ছিলেন ইয়াসিন। বর্তমানে ইয়াসিন নিজেই গড়ে তুলেছেন একটি বাহিনী। তাদের কাজ চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আশুলিয়া থানায় ইতিমধ্যে একাধিক মামলা রয়েছে।
সন্ত্রাসী ইয়াসিন ও তার সহযোগীদের নামে আশুলিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ২০ তারিখ আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় চাঁদাবাজির সময় পুলিশের হাতে পাঁচ জন আটক হয়।
তাদের ভয়ে বাইপাইল এলাকায় আতংকে থাকেন পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,বিএনপির কিছু নেতার ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত আছেন ইয়াসিন।
তার ভয়ে কথা বলতে সাহস দেখান না কেউ। তিনি সব জায়গায় বলেন পুলিশের বড় কর্মকর্তাকে হাতে রেখেই তার চলাচল।
পাষাণের বিরুদ্ধে আছে বাইপাইলের খাল ভরাট করে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ।
জানা যায়, বিএনপির এক নেতার বোন জামাই পরিচয়দানকারী পাষানের ছত্রছায়ায় ইয়াসিন,আনসার, যুবায়ের, সাদ্দাম, হারুনসহ ২০ থেকে ২৫ জন বাইপাইল এলাকায় চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে।
এই বিষয়ে কথা বলতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে ফোন দিলও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।