ঢাকা মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২


মনিরামপুরে লাভলুর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া নিয়ে সংশয়


২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৬

সংগৃহিত

জনতা ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হওয়ায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন লাভলুর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে ঋণ খেলাপি না হওয়া। এই শর্ত ভঙ্গ করায় লাভলুর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না তারা।

এবার প্রথম ধাপেই যশোর মনিরামপুর উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জ্যৈষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আনিছুর রহমান মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লাভলুর প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মণিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কল্লোল বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেছেন, জনতা ব্যাংক লিঃ মণিরামপুর শাখায় ঋণ খেলাপি থাকায় আমজাদ হোসেন লাভলুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে, তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেতে আগামী তিন দিনের মধ্যে তিনি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আপিল করতে পারবেন।

এ বিষয়ে সাবেক একজন নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাইয়ের দিন পর্যন্ত কোন প্রার্থী ঋণ খেলাপি থাকলে তার প্রার্থিতা অবৈধ। পরবর্তীতে তিনি টাকা পরিশোধ করে আপিল করলেও প্রার্থিতা কিরে পাননি এমন ঘটনা রয়েছে অহরহ। এছাড়া অনেকে টাকা পরিশোধ করলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট সঠিক সময়ের মধ্যে ইতিবাচক ধারায় আনতে না পারায় বহু প্রার্থী প্রার্থীতা ফিরে পাননি এমন নজির রয়েছে।

এদিকে, হাইকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেছেন- মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন পর্যন্ত কোন প্রার্থী যদি ঋণ খেলাপি থাকেন তার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে তিনি দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন, একটি হচ্ছে তিনি নির্বাচনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। অর্থাৎ নির্বাচন পূর্ব শর্ত হচ্ছে কোন প্রার্থী ঋণ খেলাপি থাকতে পারবেন না। আর অন্যটি হচ্ছে খেলাপি থাকা সত্ত্বেও তিনি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন। ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উচ্চ আদালতের রিট করলে তবে তার প্রার্থিতা স্থায়ী ভাবে অবৈধ ঘোষণা করেন এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।

এদিকে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আমজাদ হোসেন লাভলুর সিআইবি রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।