৭ বছর আগে এই দিনে আঁতকে উঠেছিলো বিশ্ব

সময় আর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। দিন যায় বছর যায় অনেক মানুষও চলে যায়। শুধু থেকে যায় সেই স্মৃতি। যারা ভুক্তোভোগি তারা হয়তো মনে করে মাঝে মধ্যে আঁতকে উঠে। ৭ বছর আগে ঠিক আজকের দিনে পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংস মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। বলছি রানা প্লাজা ধ্বসের কথা। সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার ৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। পৃথিবীর শিল্প কারখানার ইতিহাসের অন্যতম এই ভয়াবহ মানবসৃষ্ট দুর্যোগে নিমিষেই সাভারের রানা প্লাজা হয়ে উঠেছিলো দুঃখ ও বেদনার এক শোকগাঁথা। সেদিনের সেই ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন তার মাকে, কেউ তার বাবা, কেউ তার ভাই, কেউ বোন, কেউ তার স্ত্রী, কেউ আবার স্বামীকে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় এটাই। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ধসে পড়ে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের ৯ তলা রানা প্লাজা ভবন। ভবনটির তৃতীয়তলা থেকে নবম তলা পর্যন্ত ছিল পাঁচটি পোশাক কারখানা। এতে প্রায় ৪ হাজার পোশাক শ্রমিক কাজ করতেন। ভবন ধসের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে চাপা পড়েন চার হাজার পোশাক শ্রমিক। তাদের কান্না আর আহাজারিতে শোকের মাতম নেমে আসে পুরো সাভারে। খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন সাধারণ উদ্ধার কর্মী, দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা।
ওই ঘটনায় মারা যায় ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাককর্মী। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল শতাব্দীর ভয়াবহতম ভবন বিপর্যয়ের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর বিচার কাজ এখনো শেষ হয়নি। সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হয়নি। পলাতক আছেন দুটি মামলার অধিকাংশ আসামি।