গভীর রাতে চাচির ঘরে ভাতিজা, আপত্তিকর অবস্থায় ধরলো এলাকাবাসী

শরীয়তপুর সদর উপজেলার টাউন চিকন্দী এলাকায় চাচির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন রুবায়েত আনোয়ার মনির (৪৫) নামে এক আইনজীবী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চাচি-ভাতিজাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এলাকাবাসী।
রুবায়েত আনোয়ার মনির সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের ছোট স্বন্দ্বীপ গ্রামের মৃত আইনজীবী আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে এবং শরীয়তপুর জজকোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি আগে থেকেই বিবাহিত। আর তার চাচির এক ছেলে, এক মেয়ে। তার চাচা এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাচা বেঁচে থাকতেই মনির ও তার চাচির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন সময় তারা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতেন। একাধিকবার সালিশ-দরবারও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছিল।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আইনজীবী মনির তার চাচির ঘরে যান। তাদের পাশাপাশি ঘর। বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা রাত আড়াইটার দিকে চাচি-ভাতিজাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান এবং ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন। পরে আইনজীবী মনিরের সহকারী আলী হোসেন ও তার চাচাতো ভাই জাকির হোসেন মোল্লা তাদের উদ্ধার করেন।
আইনজীবী মনিরের সহকারী আলী হোসেন বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগানো। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখি মনির স্যার ও তার চাচি। পরে তাদের উদ্ধার করি।
জিহান রব্বানী জাকির, মামুন মাদবর, জাহাঙ্গীর খা, শহিদুল ইসলাম মিন্টুসহ স্থানীয় অনেকে বলেন, একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি আইনজীবী মনির। তিনি আপন চাচির সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত অসামাজিক কাজে লিপ্ত। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরা হয়। এটা লজ্জার ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এর সঠিক বিচার হওয়া উচিৎ। বিচার না হলে এমন অসামাজিক কাজ বাড়তে থাকবে।
চিকন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার রমিজ খা বলেন, ঘটনাটি রাতে শুনেছি। মনির ও তার চাচিকে আপত্তিকর অবস্থায় যারা ধরেছে তাদের ও এলাকার গণ্যমান্য লোক নিয়ে এক জায়গায় বসেছিলাম। দুই পক্ষের কথা শুনে সমাধানের চেষ্টা করছি।
জানতে চাইলে আইনজীবী রুবায়েত আনোয়ার মনির বলেন, আমার বিরুদ্ধে এটা একটা ষড়যন্ত্র । এ বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কেবলই শুনলাম।
টাউন চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আমিনুল বলেন, ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করতে আসেনি।
নতুনসময়/এমএন