ঢাকা শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫, ১৪ই আষাঢ় ১৪৩২


গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি


১৬ জুলাই ২০১৯ ২১:৪৩

ছবি সংগৃহিত

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার সকালে সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায় ঘাঘট রক্ষা বাঁধের ১শ’ ৫০ ফুট এবং গোদারহাট এলাকায় সোনাইল বাঁধের প্রায় ১শ’ ফুট ধ্বসে গেছে। ফলে ওই দু’টি বাঁধের এলাকায় অন্তত ১৫টি গ্রামে আকস্মিকভাবে বন্যা দেখা দেয়। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ওয়াপদা বাঁধ ধ্বসে অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার রাত দেড়টার দিকে বাঁধ ধ্বসে ভেসে গেছে কমপক্ষে ২০টি বাড়িঘর। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে আশেপাশে দশ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। বাঁধ ধ্বসে যাওয়ায় বন্যা দুর্গত পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

এদিকে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা.এবিএম আবু হানিফ জানিয়েছেন, বন্যার্ত মানুষের চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য জেলার চার উপজেলায় ১০০টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রান সহায়তা দেয়া শুরু করেছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর জন্য এখন পর্যন্ত ৪০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।এছাড়া নতুন করে আরও এক হাজার মেট্রিকটন চাল ও দশ লাখ টাকা এবং পাঁচ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেটের চাহিদা দেয়া হয়েছে।

ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১১২ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে তিস্তা নদীর পানি ৫ সে.মি. হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।