ঢাকা শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫, ১৪ই আষাঢ় ১৪৩২


রুপনগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার


১৫ জুলাই ২০১৯ ০৫:৩৫

পঞ্চম শ্রেনীর দুজন ছাত্রীর দোলনায় ওঠাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে মিরপুর রুপনগর কামাল আহমেদ মজুমদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন করছে একটি গোষ্ঠি। এ অবস্থায় স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী জানান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিবৃন্দ।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোজাহারুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা, সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার শাপলা, পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী আব্দুল হাই হারুন, সদস্য সুইটি আক্তার এবং মারামারিতে অংশ নেয়া পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মৌমিতাসহ অন্যান্যরা। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ৬ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে জনৈক তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করে বলেছিলেন তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে আসতে দেয়া হয় না। পরিচালনা কমিটির সদস্য সুইটি আক্তার পুলিশ দিয়ে তার ছেলেকে পিটিয়েছে। কিন্তু তাদের এই অভিযোগ সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার দিন মৌমিতা ও তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে তামান্না (দুজনে ঘনিষ্ট বান্ধবী) স্কুলের একটি দোলনায় বসা নিয়ে মারামারি করে। এসময় তামান্না কাউকে কিছু না বলে বাসায় গিযে তারা বাবা ও ভাই আল আমিনসহ কয়েকজনকে ডেকে আনে। তারা মৌমিতাকে মারার জন্য হামলা চালালে শিক্ষকরা বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরো লোকজন ডেকে আনে আল আমিন। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। কিন্তু তাতে খুশি হতে পারেনি তোফাজ্জলের ছেলে আল আমিন। সে বোনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার প্রতিশোধ হিসাবে মৌমিতাকে নিজ হাতে মারতে চড়াও হয়। এমনকি পরিচালনা কমিটির সদস্য সুইটি আক্তারকেও ধাক্কা দিয়ে হেনস্তা করে। তখন পুলিশ তাকে ধমক দিয়ে থানায় নিয়ে গেলেও পরক্ষনে ছেড়ে দেয়।
এই ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে শিক্ষাকে বানিজ্য হিসাবে নেয়া, তামান্নাকে স্কুলে ঢুকতে না দেয়াসহ নানা অপপ্রচার চালাতে থাকে। পরিচালনা কমিটির সদস্য সুইটি আক্তারের নামে ১৯/১২টি ভূয়া ফেসবুক আইডি খুলে তার মানহানি করতে আপত্তিকর পোস্ট দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেও হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।