জাতীয় প্রেসক্লাবে মাহফুজ উল্লাহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত

জাতীয় প্রেসক্লাবে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) আসর নামাজের পর জাতীয় প্রেসক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় দেশের রাজনীতিক, সুধীজনদের পাশাপাশি পারিবারিক আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে তার লাশ প্রেসক্লাবে আনা হয় এবং নামাজে জানাজা শুরু হয় ৫টা ২০ মিনিটে।
দেশের বিশিষ্ট এই সাংবাদিক শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে (ব্যাংকক সময় ১১টা ৫ মিনিট) ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন।
রবিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জেএসডির সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সদস্য মাহবুব তালুকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাহফুজ উল্লাহ এদেশের যে কয়জন প্রথিতযশা সাংবাদিক, তার মধ্যে সে নিঃসন্দেহে অন্যতম। অসাধারণ একটা বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ, ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ। যে সাংবাদিকতাকে শুধু পেশা হিসেবে নেয়নি নেশা হিসেবে নিয়েছিল এবং মাহফুজ উল্লাহ একাধারে সাংবাদিকতা করেছেন, লিখেছেন প্রায় ৫০ টির মত বই।
তিনি হঠাৎ এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন আমরা কেউ ভাবতেও পারিনি। তিনি আমার অত্যন্ত ভালো বন্ধু ছিলেন। যদিও আমার বয়সে ছোট কিন্তু আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু ছিলেন, পরামর্শক ছিলেন এবং অনুপ্রেরণার একটা জায়গা ছিল। তাকে এভাবে আমাদের আগেই হঠাৎ করে চলে যেতে হবে, তার জানাজা পড়তে হবে, তা আমি ভাবতেও পারছি না। তারে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে আমি নিজেই অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়েছি। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসিব করুক।
প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, তিনি সমায়ের অগ্রগামি লেখক সাহিত্যতিক ওনাকে হারানোর যে অভাব তার কোন দিনও পূরণ হবে না।তিনি দল মত নিরিাভশেষে সবাইকে ভালো বাসতেন।
বড় ভাই অর্থনীতিবিদ মাহবুবউল্লাহ বলেন, মাহফুজুল্লাহ অত্যন্ত প্রতিভাবান ছিল। আপনারা সাক্ষ্য দেন তিনি কেমন মানুষ ছিলেন। আপনারা দোয়া করবেন তাকে যেন আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করে।
ছেলে মোস্তফা হাবিব অন্তু বলেন, আমার আব্বার কথায় ও কাজে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে তাকে ক্ষমা করে দিবেন। পহেলা মে বাবার কুলখানি এই প্রেসক্লাবেই হবে, আশাকরি আপনারা সেখানে অংশগ্রহণ করবেন।
জানাজা নামাজ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর বিএনপি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, নোয়াখালীর জার্নালিস্ট ফোরাম সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নতুনসময়/রাখি/আইকে