ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


অনিশ্চিতের পথে ইভিএম প্রকল্প


১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:২৪

নির্বচনকে আধুনিক ও গতিশীল ত্রুটিমুক্ত, বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বচন কমিশনের হাতে নেওয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন(ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি আনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এজন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) পক্ষ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের প্রস্তাবও পাঠালেও এক মাসে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

প্রকল্পটি নিয়ে মূল্যায়ন কমিটির যে সভা হওয়ার কথা ছিল, সেটি স্থগিত হয়ে আছে।

গত ১৯ আগস্ট (রোববার) দুপুর ১২টায় ইভিএম বিষয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করেই স্থগিত হয়ে যায়। এরপরে ২৩ দিনেও কোর পদকে।ষপ নেওয়া হয়নি। ফলে আপাতত অনিশ্চিতে পথে রয়েছে ইভিএম কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার প্রকল্পের কাজ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, দেড় লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্পটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বহির্ভূত হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুমোদন লাগে।

মাত্র দেড় লাখ ইভিএম সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রকল্পটির প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮২১ কোটি সাত লাখ টাকা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠেয় একনেক সভায় ইভিএম প্রকল্পটি উপস্থাপনের কোনো সম্ভাবনা নেই। এরপরে বর্তমান সরকারের মেয়াদে ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ একনেক সভা। ওই সভায়ও প্রকল্পটি উপস্থাপনের সম্ভাবনা থাকছে না। এই হিসেবে বলাই যায়, বর্তমান সরকারের মেয়াদে অনুমোদন পাচ্ছে না ইভিএম কেনার প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশনের ইভিএম সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সঙ্গে একান্ত আলাপকালে বলেন, দেড় লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প এখন প্রায় স্থগিত হয়ে আছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে আরো দুটি একনেক সভা হবে। একনেক সভায় না উঠলে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় । কারণ একনেক সভায় প্রকল্প উপস্থাপনের আগে আমাদেরও প্রকল্প যাচাই-বাছাই করতে পিইসি সভা করতে হয়।

প্রস্তাবনায় ইসি জানায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এর মূল দায়িত্ব হলো জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করা। এছাড়াও ইভিএমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয় এতে।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ব্যবহার করা হয়।

এসএমএন