ঢাকা রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


আজ থেকে আমরা আরও কাছে এলাম


১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৪

‘আজ থেকে আমরা আরও কাছে এলাম, আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হলো। ধন্যবাদ।’ বাংলায় এ কথা গুলো বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উন্নয়নের বাংলাদেশের নেয়া বিভিন্ন লক্ষ্যের প্রশংসা করে বলেছেন, প্রতিটি অর্জন তাকে গর্বিত করে।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন মোদি।

ভারত থেকে পাঁচশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে ভেড়ামারায় দ্বিতীয় ব্লক স্টেশনের উদ্বোধন এবং আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেললাইনের বাংলাদেশ অংশের নির্মাণ কাজ এবং মৌলবীবাজার জেলার কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল সংযোগ পুনর্বাসন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করতে এই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের বিষয়টি তুলে ধরে প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি বাংলাদেশের বিকাশের জন্য মহান লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ বানাবেন, আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র বানাবেন। তার লক্ষ্য পূরণে সহযোগিতা করা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমার পুরো বিশ্বাস, আমরা যত আমাদের সম্পর্ক মজবুত করব, ততই উন্নতির আকাশ ছুঁতে পারব।

বক্তব্যের শুরুতেও বাংলায় তিনি অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এর সাথে যুক্ত সকলকে, বিশেষভাবে আমার বাংলাদেশের ভাই ও বোনেরা নমস্কার।’

দুই দেশের নেতাদের মধ্যে আরও ঘন ঘন দেখা সাক্ষাতে আগ্রহী মোদি। সম্প্রতি নেপালে বিমসটেকের সম্মেলনে, তার আগে ভারতের মুম্বাইতে শান্তি নিকেতনে ও এপ্রিল মাসে কমনওয়েলথ সম্মেলনে লন্ডনে সাক্ষাতের বিষয়টি তুলে ধরেন বলেন, ‘আমি আগেও কয়েকবার বলেছি, প্রতিবেশী দেশের লিডারের সাথে প্রতিবেশীর মতোই সম্পর্ক হওয়া উচিত।’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমানা এবং জল সীমানা নির্ধারিত হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। আর এই ভূমি বিনিময়ে বাংলাদেশ ১০ হাজার একর জমি বেশি পেয়েছে। সমুদ্র সীমা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মেনে নিয়েছে দুই পক্ষই। এ ছাড়া সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলেই।

তবে তিস্তার পানি বণ্টন চু্ক্তি ঝুলে থাকা দুই দেশের সম্পর্কে এখনও কাঁটা হয়ে রয়েছে। ২০১১ সালেই যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটি আটকে আছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তি। যদিও মোদির প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তার এবং বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান মেয়াদেই এই চুক্তি সই হবে।

এসএ