ঢাকা রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


ঢাকার ৪ নদী ধ্বংসের মুখে


৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:৩৯

ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্পকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয় সাভারে। যেখানে এখনো পরিকল্পিত ডাম্পিং স্টেশনই গড়ে না ওঠায়, তদারকি ও নজরদারির অভাবে সেখানেও শুরু হয়েছে নদী দূষণ। বিষাক্ত আবর্জনা ও ট্যানারির বর্জ্যের কারণে এ সব দূষণ হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ট্যানারির বর্জ্য পরিশোধন না করে ড্রেনেজের লাইন সংযুক্ত করা হয়েছে নদীর সাথে। এ কারণে  বুড়িগঙ্গা, কালিগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও তুরাগ নদী একই সঙ্গে দূষিত হচ্ছে। কারণ এই চারটি নদী একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এক নদী বাঁচাতে ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও  নিয়ম না মানা হলে আরো মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। ৪ নদীকে ধ্বংস করবে।

পরিবেশবাদী সংগঠকরা বলছেন, পরিবেশ নীতির নিয়ম নীতি না মানায় দূষিত হচ্ছে ৪টি নদীর পানি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গার ৬০ শতাংশ দূষণ হচ্ছে কারখানার বর্জ্যের কারণে। বুড়িগঙ্গা নদী দূষণের বড় দায় ট্যানারি শিল্পের।

দূষণ রোধে ধলেশ্বরী নদীর পাশে ১১৯ একর জমিতে গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)।

চামড়া বর্জ্য শোধনের জন্য ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ আবশ্যক। তাও সম্পন্ন হয়নি। ইতোমধ্যে স্থানান্তর হওয়া ৩৪টি কারখানার বর্জ্যই ভারি হয়ে ওঠেছে স্থানীয় বাতাস। দুর্গন্ধে আশপাশে যাওয়া যাচ্ছে না। এখন ডাম্পিং স্টেশনের কাজ শুরু হতে সময় লাগবে বছর খানেক।

শুরু হয়নি লবন পানি শোধণের কাজও । এ অবস্থায় ৩টি কারখানার চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু হয়েছে। যা নিয়মিত বর্জ্য উৎপাদন ও নিঃসরণ করছে।

তিনি বলেন, ট্যানারি যেখানেই স্থানান্তর করেন না কেনো, তা হতে হবে পরিকল্পিত। কারণ ধলেশ্বরীর সঙ্গে অন্য নদীর সম্পর্ক রয়েছে।

বিশিষ্ট লেখক গবেষক ও বাপার সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ট্যানারি নিয়ে অনেক সংবাদ প্রতিবাদ ও আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজটি হয়নি। আমরা নদী বাঁচাতে চাইবো কিন্তু নিয়ম মানবো না, নজরদারি রাখবো না তা কি করে হয়? সরকারেই ঘোষণা দিয়েছে সাভারে যাবে ট্যানারি। সেখানে নিয়ম মেনে ও সঠিক সময়ে সব কিছু হচ্ছে কিনা তা দেখা সরকারেরই দায়িত্ব।

পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার ট্যানারি স্থানান্তরে যেভাবে কাজ করছে তাতে মনে হয়, পরিবেশ আইন, নদী দূষণ আইন কোনো কিছুই কারখানার মালিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

এসএমএন