ঢাকা সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫, ১০ই আষাঢ় ১৪৩২


বাঙালির ইতিহাস ত্যাগের ইতিহাস - প্রধানমন্ত্রী


২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৭

বই মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাঙালির ইতিহাস ত্যাগের ইতিহাস, আর এটাই আমাদের অর্জন। তিনি বলেন, ‘১৯৪৮ সালে ভাষার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের পথ ধরে আমাদের স্বাধিকার আদায়। একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা করার উদ্যোগ আমাদের সরকারের আমলেই নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের মর্যাদা দেয় ইউনেস্কো। আমাদের ইতিহাস জানা দরকার। বাঙালির ইতিহাস ত্যাগের ইতিহাস। আর সেটিই আমাদের অর্জন।’

শুক্রবার বিকালে বাংলা একাডেমিতে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রতি মর্যদা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন। আমিও যতবার জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছি, বাংলাতেই দিয়েছি।’
তিনি বলেন, বইমেলা শুধু কেনাবেচা নয়, বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। এখানে লেখক-পাঠক-বইপ্রেমীদের মিলনমেলা ঘটে।
বইমেলার প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন প্রায়ই বইমেলায় আসতাম। এখনতো সরকারে বলে অনেকটা বন্দিজীবনেই থাকতে হয়। নিরাপত্তার কারণে অন্যের যেন সাধারণ মানুষের যেন অসুবিধা না হয়, সেজন্য আসি না। তবু সবসময় বইমেলায়ই মন পড়ে থাকে।

বইয়ের চাহিদা কখনো শেষ হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনতো সব ডিজিটাল হয়ে গেছে। মোবাইল বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে বই পড়ে সবাই। কিন্তু আমরা যত যান্ত্রিকভাবেই বই পড়ি না কেন, নতুন মলাট খুলে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে বই পড়ার যে আনন্দ, সেটা অনুভব হয় না। অবশ্য অনলাইনে বই থাকলে সবার কাছে পৌঁছানো যায়, সেটাও জরুরি।

সরকার দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে চলবে, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে উন্নত সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ আমাদের বাংলাদেশ, সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষ, মিশরীয় লেখক-গবেষক মোহসেন আল আরিশি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী।

নতুনসময়/আইএ