শপথ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের দুই নেতার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

শপথ নেওয়া ও না নেওয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মাদ মনসুর ও গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের দুই এমপি মৌলভীবাজার-২ থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান শপথ নিবেন বলে গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মাদ মনসুর। তবে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী মোস্তফা মোহসীন মন্টু এক বিবৃতিতে জানান, শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে। ঐক্যফ্রন্ট্রের নির্বাচিত কোন সাংসদ শপথ নেবেন না।
বিবৃতিতে বলা হয়, একটি অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন তথা জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য সুদৃঢ় ও অটুট আছে। গণফোরাম তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন কোন নির্বাচিত সংসদ সদস্য সংসদে যোগদান করছে- এধরণের সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা অসত্য ও ভিত্তিহীন। সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে গণফোরামে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে রোববার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, গণফোরমের নির্বাচিত দু’জনেই শপথ নেবো। তাড়াহুড়ো করছি না। এখনও সময় আছে। ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিলেই হবে।বিএনপির সংসদ সদস্যরা তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তো সবাই আলাদা আলাদা দল।
সুলতান মনসুর বলেন, আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে সংসদে কথা বলার জন্য। তাদের জন্য কাজ করতেই আমাকে সংসদে যেতে হবে।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে জয় পান ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি।
ইতোপূর্বে ধানের শীষ প্রতীকের কোনো প্রার্থী ওই আসনে কখনও বিজয়ী হতে পারেননি। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে যখন বিএনপি সরকার গঠন করেছিল তখনও এ আসনে জামানত হারায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।