ঢাকা শনিবার, ২১শে জুন ২০২৫, ৮ই আষাঢ় ১৪৩২


পরীক্ষার আগে কোনো ধরনের অনৈতিক পথের খোঁজে নামবেন না


২৩ জানুয়ারী ২০১৯ ০২:৫৭

ফাইল ছবি

অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরীক্ষার আগে আপনারা কোনো ধরনের অনৈতিক পথের খোঁজে নামবেন না। পরীক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পড়াশোনা করবে, ঠিকভাবে পরীক্ষা দেবে, ভালো ফলাফল করবে। সেটিই আমরা চাই।

এসময় তিনি বলেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এটি আমাদের সবার জন্যই পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমরা সবাই যেন ভালোভাবে উত্তীর্ণ হতে পারি। সেই পরীক্ষা যেন হয় সম্পূর্ণভাবে প্রশ্নফাঁসমুক্ত ও নকলমুক্ত।

মঙ্গলবার (২২জানুয়ারী) এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ৪৮তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, অনৈতিকতার পথে হেঁটে কখনো ভালো ফল পাওয়া যায় না। আমরা চেষ্টা করব কোনোভাবেই যেন কোনো দুর্বৃত্ত এ প্রক্রিয়ায় এটিকে নষ্ট করবার কোনো অপচেষ্টা চালাতে না পারে। একই ভাবে যদি প্রশ্নপত্র পাওয়ার ব্যাপারে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের একাংশেরও বিশাল আগ্রহ না থাকে, চেষ্টা না থাকে পাবার তবে অপকর্মটি যারা করে তাদের সেই চেষ্টা থাকবে না। কারণ তারা লাভবান হতে পারবে না। কাজেই করণীয় আছে সকলেরই। সবাই মিলে এ প্রক্রিয়াটি সুন্দর, সফল ও ত্রুটিমুক্ত করতে চাই।

তিনি বলেন, শিক্ষার মূল কথা শিশুর অফুরন্ত সম্ভাবনা তুলে ধরা। সবাই মিলে চেষ্টা করবে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে। তারা যেন উদ্যমী হয়।আমরা সব সময় ভাবি ক্লাসে কী করে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হব। সেটি নিশ্চয় জরুরি। ভালো করা নিশ্চয় জরুরি। জিপিএ-৫ পাওয়া জরুরি। কিন্তু সেটিই একমাত্র বিষয় হতে পারে না। আমি ভালো মানুষ হলাম কি না। আমার মধ্যে মানবিকতাবোধ, আমার মধ্যে নৈতিকতা সেগুলো ঠিকমতো আছে কি না। আমি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠলাম কি না। সুস্থ, সুন্দর মন নিয়ে বড় হচ্ছি কিনা সেটি কিন্তু জরুরি

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে চাই। আমরা শিক্ষার মানে মনোযোগী হয়েছি। সেই জন্য মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। এক্ষেত্রে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমাদের জনসংখ্যার চাপ আছে, খেলার মাঠের অভাব আছে। আমাদের মেয়েরা এখন বিশ্ব মাত করছে। ছেলেরাও তা পারবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ক্রীড়া পড়ালেখার অন্যতম অংশ। পড়াশুনার সঙ্গে খেলাধুলার সম্পর্ক গভীর। আমাদের মানসিক বিকাশ যদি না হয়, তাহলে শিক্ষা অর্জন হবে না। আজকের বিশ্বে মানসিক বিকাশ বন্ধ করে দেওয়ার অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি অনেক ধরনের আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে, যেগুলো আমাদের খেলাধুলা থেকে দূরে রেখে ঘরে বসে রাখতে উৎসাহিত করে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান, তোমরা বিকাল হলে ঘর থেকে বের হয়ে খেলাধুলা করতে যাবে। খেলাধুলা করলে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকবে।
/আনু