ঢাকা শনিবার, ২৭শে ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ই পৌষ ১৪৩২


শেষ মুহূর্তেও বিএনপি, জামায়াতের সঙ্গে দলগুলোর দর কষাকষি; কোন পথে এনসিপি?


২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৫

সংগৃহীত

Logo

Live 

হোম জাতীয় রাজনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলাধুলা বিনোদন মতামত

শেষ মুহূর্তেও বিএনপি, জামায়াতের সঙ্গে দলগুলোর দর কষাকষি; কোন পথে এনসিপি?

সময় যত গড়াচ্ছে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর আসন সমঝোতা ততই কঠিন হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপির মতো দলগুলো এখনও শতভাগ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি।

 

জোটবদ্ধ হলেও নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে, আরপিওর এমন সংশোধনীতে জোট ও শরীকরা নানা হিসাব-নিকাশ কষছে। কে কত আসন পাবে বা কয়টা ছাড় দেয়া হবে, এই নিয়ে এখনও দলগুলোতে দর কষাকষি চলছে।

 

বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত করেছে। ২৭২টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। বাকি ২৮টি আসন থেকে সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪টি আসনে শরিক দলের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। যেসব আসনে সমঝোতা হবে সেখানে প্রার্থী দেবে না বিএনপি। 

 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বোঝাপড়া থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। আসন ছাড় নিয়ে কিছুটা টানাপোড়েন রয়েছে। এটি থাকবেই। তবে বড় দল হিসেবে তাদের বড় ঔদার্য আশা করেছিলাম।

 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাকিরা কীভাবে সরকারের অংশ হবে, সংরক্ষিত নারী আসন ও উচ্চকক্ষের বিষয় রয়েছে। তবে বোঝাপড়ার জায়গাটি অব্যাহত রাখার চেষ্টা রয়েছে।

 

অন্যদিকে, সংস্কার, জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার, গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ ৮টি সমমনা দল মাঠে আন্দোলন করছে। দলগুলো রাজপথের এই ঐক্যকে নির্বাচনের মাঠে কাজে লাগাতে চায়। এরইমধ্যে আসন সমঝোতাও প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এনসিপির সঙ্গে আলোচনার কারণে খেলাফতে মজলিসের নাখোশ নিয়ে কানা-ঘুষা রয়েছে।

 

যদিও এটিকে গুজব বলছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি জানান, এনসিপিসহ একাধিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় সমমনা দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসবে জামায়াত। 

 

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, দুই-তিনটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আসনের তালিকা দিয়েছে। আরও ১২টি মতো দল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাদের কতটুকু জায়গা দেয়া যাবে, নিশ্চিত নয়। কারণ, আমরা ৮ দলের সঙ্গে আগে থেকেই রয়েছি। আসন সংখ্যা নয়, জয় পাওয়াকেই বেশি প্রধান্য দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

বিএনপির সাথে এনসিপির আসন সমঝোতার বিষয়টি আলোচনায় থাকলেও দুই পক্ষের শেষ পর্যন্ত বোঝাপড়া হয়নি। আর জামায়াতের সাথে এনসিপির আলোচনা চললেও একটি অংশের এতে সমর্থন নেই। নতুন গঠিত জোটের মধ্যেও রয়েছে আপত্তি।

 

এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, জোট নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। এছাড়া অন্যান্য দলের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। এনসিপির স্বতন্ত্র ও ইশতেহারের বিষয়টি মাথায় রেখেই আসন সমঝোতা বা বোঝাপড়া হবে।  

 

২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়। তার আগে কোনও সমঝোতায় আসতে না পারলেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগেই দলগুলোকে সমাধানে আসতে হবে।