তারেক রহমানের নিরাপত্তা: উদ্বেগ থাকলেও শঙ্কিত নয় বিএনপি
দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উচ্ছ্বাস আর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় দলের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে তারেক রহমান নিজেই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নির্বাচনকালীন সময়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও শঙ্কিত নয় বিএনপি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেয়া হচ্ছে সার্বিক প্রস্তুতি।
দলের শীর্ষ নেতা আর বিশ্লেষকরা বলছেন, তারেক রহমানের উপস্থিতি প্রভাব ফেলবে আগামী নির্বাচন ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতায়।
রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, যত কিছুই বলি না কেন, ভাবি না কেন, তারেক রহমান বিএনপির রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর, তার আগমন তো অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর দলের উজ্জীবিত হওয়ার ক্ষেত্রে এবং বিএনপির অভ্যন্তরীণ যে সংকট তা নিরসনের ক্ষেত্রে তার উপস্থিতি একটা টনিক হিসেবে কাজ করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বের দলটা তো ভাঙতে পারে নাই। শুধু তাই নয়, দলটা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। দে বিলং টু বাংলাদেশ, তাদের কাছে বাংলাদেশ প্রথম। বাংলাদেশ ফার্স্ট স্লোগান হচ্ছে। এই ধরনের নেতা দেশে ফিরবে, জনগণ অপেক্ষা করছে। উনার নেতৃত্বে আমরা আগামী দিনে নির্বাচনে যাবো।
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফিরলেও প্রশ্ন থেকে যায়। মায়ের চরম সংকটকালে দেশে ফিরতে না পারা সেই আক্ষেপের কথা জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে নিজের যে প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়েছিলেন তা কি কাটলো? বিশ্লেষকরা বলছেন, সমাধান হয়েছে বলেই, ফিরছেন তিনি।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, তার আসার ব্যাপারে যদি কিছু প্রতিবন্ধকতা থেকে থাকে, সেগুলোর ব্যাপারে হয়তো একটা সমঝোতা বা ইতিবাচক বন্দোবস্ত হয়েছে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে-পরে চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্ল্যাহ এবং ঢাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা শঙ্কিত করেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।
পুলিশ বলছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রটোকলের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। ২৫ তারিখ দেশে আসা নিয়েও রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান বললেন, কোনও শঙ্কার কথা আমরা দেখছি না। এই উপলক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে পূর্ণ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিমানবন্দর থেকে তার পরবর্তী গন্তব্যস্থলে যাতায়াতের সম্ভাব্য রুটগুলো বিবেচনা করে আমরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছি।
তারেক রহমান দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফুট এলাকায় জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। থাকবেন গুলশান এভিনিউর বাসায়। পুরো যাত্রাপথে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর বিএনপি। সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে রয়েছে আলাদা চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ)।
