বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ
বাজারে উঠেছে নতুন জাতের পেঁয়াজ। করা হচ্ছে আমদানিও। তবুও সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দর।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারে আমদানি পেঁয়াজের সরবরাহ কম। দামও শতকের ঘরে। দেশি পেঁয়াজের দাম নাগালে না আসার জন্য আড়তদারদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন খুচরা দোকানিরা।
তাদের দাবি, পাইকারিতেই দাম পড়ছে বেশি। তবে, সবজি আর নতুন আলুর দাম নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
অথচ কথা ছিলো নতুন জাত বাজারে এলেই কমবে পেঁয়াজের ঝাঁজ। আমদানির খবরে গত সপ্তাহেই দর নেমেছিলো কেজিপ্রতি ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে, কেউ কথা রাখেনি। রাজধানীতে ফের চড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম।
এখনও বিভিন্ন বাজারে পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দর দেড়শ'-তেই। মুড়িকাটার কেজি পাইকারিতেই পড়ছে ১০৫ টাকা। খুচড়ায় হাকা হচ্ছে ১২০ টাকা পর্যন্ত। আর আমদানি পেঁয়াজ যেন অমবস্যার চাঁদ। রাজধানীর বাজারে সরবরাহ একেবারে তলানীতে। যাওবা মিলছে তার দামও শতকের ঘর। অথচ, পার্শ্ববর্তী দেশেই সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পানির দামে।
তবে, বাঙালির রসনাবিলাসের আরেক নিত্যপণ্য আলুর দরে স্বস্তি আছে কিছুটা। নতুন জাতের আলু কেনা যাচ্ছে ৫০ টাকা করে। আর পুরনো সেই ২৫ টাকা।
এদিকে, সবজির বাজার দিচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মটরশুটির কেজিতে গুনতে হচ্ছে তিন থেকে চারশ টাকা। ছেড়ে কথা বলছে না নতুন শিম। পটলের দামও উর্ধ্বমুখী। তবে, বাধাকপি, ফুলকপি আর বেগুনের দাম নিয়ন্ত্রণে। মিলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকাতেই।
ক্রেতাদের চাওয়া, পণ্যের এমন একটি দাম নির্ধারিত হোক যেন কৃষক ও মধ্যবিত্ত দুই শ্রেণিই লাভবান হয়।
