ঢাকা বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২


আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মাহুতি যেনো বৃথা না যায়: মির্জা ফখরুল


৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:২৩

সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের আত্মাহুতি যেন বৃথা না যায়।’ এছাড়াও গণঅভ্যুত্থানের অর্জিত বিজয় সুসংহত করতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

 

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ ও তার স্ত্রী সালমা আলো প্রণীত গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মতপার্থক্য থাকবেই, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। কিন্তু এ কারণে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের আত্মাহুতি যেন বৃথা না যায়। একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ যেন থমকে না যায়। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘকাল চেপে বসা একটি স্বৈরতন্ত্রের অবসান হয়েছে। আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করার। কোনভাবেই যেন এই সুযোগ হাতছাড়া না হয়।

 

ড. মাহবুব উল্লাহ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম নেপথ্যের কারিগর উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন অর্থনীতি এবং আধিপত্যবাদ বিরোধী রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রেখেছেন ড.মাহবুব উল্লাহ। তার প্রত্যেকটি লেখার মধ্যে সত্যিকার স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন ফুটে উঠেছে।

 

লেখক ও চিন্তাবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির রাষ্ট্র গঠনে ভিশন ২০৩০ ভাবনা জাতির সামনে আনা হয়েছিল যার মূল বিষয় ঠিক করার কাজ ছিল মাহবুব উল্লাহর। ভিশন ২০৩০ প্রণয়নে অনেক বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। এমনকি ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আমরা যখন আন্দোলন করেছিলাম তখনও অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন ড. মাহবুব উল্লাহ।