গাজীপুরের রাজনীতিতে ঝড় তুললেন ইরাদ সিদ্দিকী
গাজীপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর আপন বড় ভাই এবং সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর পুত্র চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করে গাজীপুরের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি শুধু বিএনপি হাইকমান্ডের সমালোচনা করেননি, একইসাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কেও অকপট মন্তব্য করেছেন।
চৌধুরী ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বীকার করে না, তারা জারজ। তিনি জানান, যদিও তিনি আওয়ামী লীগ করেন না, তবুও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। তার দাবি, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও আওয়ামী লীগের ভোট পাবেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এবং কে এম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও যোগাযোগ রয়েছে এবং তারা তাকে সমর্থন দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ইরাদের ভাষ্যমতে, প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের লোকজন তার জন্য মাঠে নেমেছেন।
সকালে কালিয়াকৈর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইরাদ সিদ্দিকী তার আপন ভাই ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাককে ৩০০ আসনের মধ্যে 'সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী' হিসেবে আখ্যা দেন। তবে ইশরাককে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি বিএনপির প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, তার ভাই ইশরাককে মনোনয়ন না দেওয়া হলে তিনি নিজেই গাজীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন।
তিনি বলেন, তার বাবার (তানভীর সিদ্দিকী) শক্তিশালী 'ভোটব্যাংক' এবং পারিবারিক সুনাম রয়েছে। তিনি বিএনপির নবনির্বাচিত বা অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত নেতাদের (যেমন কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল ও মুজিবর রহমান) মনোনয়ন দিলে তাদের এক ফুঁতে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
ইরাদ মনে করেন, হান্নান শাহ ও অধ্যাপক মান্নানের মৃত্যুর পর গাজীপুর বিএনপি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে এবং এখন "টাকা যার, মনোনয়ন তার" নীতি চলছে। তিনি জেলা বিএনপি'র বর্তমান যুগ্ম-আহ্বায়ক রিয়াজুল হান্নান (হান্নান শাহের পুত্র) এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করীম রনিকে (অধ্যাপক মান্নানের পুত্র) যোগ্যতার মাপকাঠিতে তার বাবার সমকক্ষ নন বলেও দাবি করেন, অথচ তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশোভন মন্তব্য
সম্প্রতি ইরাদ আহমদ সিদ্দিকী একটি ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়েও অশোভন ও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এই বক্তব্য বিএনপির ভেতরে ও বাইরে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
