বেনাপোলে অভিভাবকহীন নবজাতক শিশু উদ্ধার
বেনাপোল পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের গাজীপুর ও নামাজ গ্রামের মাঝে অবস্থিত হাকড় নদীর পাড় থেকে এক নবজাতক শিশু উদ্ধার করা হয়। এ মহতি উদ্যোগের কাজটি করেছেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) ডা.কাজী নাজিব হাসান।
বুধবার(১২ নভেম্বর) সকালের দিকে ঐ এলাকার মানুষ শিশুটিকে হাকড় পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে। সেখানে বসবাসকারী আলী হোসেন কালু নামের একটি পরিবারের লোকজন সাহসিকতার সাথে শিশুটিকে উদ্ধার করে দত্তক হিসেবে তাদের কাছে রাখে।
এলাকার মানুষ বেনাপোল পৌরসভায় জানালে, পৌর কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রশাসক এবং শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) ডা.কাজী নাজিব হাসান ঘটনাস্থলে পৌছে শিশুটি’র খোঁজ-খবর নেন।
ইউএনও জানিয়েছেন,নবজাতকের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হয়,চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শিশুটি সুস্থ আছে। আপাতত প্রশাসনের মনিটরিং ও আর্থিক সহায়তায় উদ্ধারকারী পরিবারের কাছে নবজাতক শিশুটি আছে। পরবর্তীতে উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের মাধ্যমে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মানিক কুমার সাহা জানিয়েছেন,ওই এলাকায় বসবাসকারী দত্বক আলী হোসেন কালু(৪৮) পিতা-মো. ছিদ্দীক, মাতা-মোছা. নুরজাহান খাতুন, সাং-গাজীপুর, থানা-বেনাপোল পোর্ট, জেলা-যশোর অত্র থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে জানায় যে, বুধবার(১২ নভেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে তার বসত বাড়ীর পার্শ্বে বাশ বাগানের মধ্যে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়।
আলী হোসেন, তার স্ত্রী মোছা. নারগিস বেগম সহ স্থানীয় লোকজন উক্ত বাশ বাগানের মধ্যে গিয়ে দেখতে পায় একজন পাগলী(বুদ্ধি প্রতিবন্ধি) মহিলা শুয়ে আছে এবং পাশে তার নবজাতক সন্তান পড়ে আছে।
তখন আলী হোসেনের স্ত্রী সহ আশে পাশের লোকজন মিলে বস্ত্রহীন পাগলীর শরীরে কাপড় পরিয়ে বাচ্চার নাড়ি কাটা হয়। পরবর্তীতে পাগলী তার বাচ্চার মুখ দেখে বাচ্চাকে রেখে উক্ত স্থান হতে অজ্ঞাতস্থানে চলে যায়। অনেক খোজাখুজি করে পাগলীকে কোথাও খুজে না পেয়ে বাচ্চাটিকে তাদের(আলী হোসেন কালু) হেফাজতে রাখে।
