সালিশে ক্ষমা চাইতে বলায় হামলা : শার্শায় জামায়াত নেতাসহ ১০ জনকে কুপিয়ে জখম
যশোরের শার্শায় সালিশ বৈঠকে ক্ষমা চাইতে বলাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি জহুরুল ইসলামসহ একই পরিবারের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের লাউতাড়া গ্রামে ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার মাছ ধরার ‘ঘুনি’ বসানোকে কেন্দ্র করে গ্রামের ইমরান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুসের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমরান ইউনুসকে ধাক্কা দিলে বিষয়টি নিয়ে রাতে সালিশ বৈঠক বসে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি জহুরুল ইসলাম। সেখানে ইমরানকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে ইউনুসপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী বাবলু, আব্দুল আলীম, জসিম, শাহিন, বাবলু মিস্ত্রী, আমিন, শরিফুল, ইউনুসসহ ১৫/২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইমরান ও জহুরুল ইসলামের ওপর। তারা ইমরান ও জহুরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। হামলার সময় পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, জহুরুল ইসলাম (৫০), ইমরান (২৭), নুর মোহাম্মদ (৭৩), কদর আলী (৫০), হেলাল (২৮), সালমা (৩৪), রানু (২৫) সহ আরও অনেকে।
আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়রা জানান, জহুরুল ইসলাম ২০২১ সালের হাতেম আলী হত্যা মামলার একজন সাক্ষী ছিলেন। ওই মামলার প্রধান আসামি বাবলু সম্প্রতি জামিনে এলাকায় ফিরে আসেন।
আহত জামায়াত নেতা জহগুরুল অভিযোগ করেন, বাবলু ও তার অনুসারীরা প্রতিশোধমূলকভাবে পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছে। আহতদের স্বজনরা হামলাকারীদের দ্রæত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য হামলাকারী ইউনুস ও বাবলুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার লোকজন জানান, তারা এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। কারো সাথে কোন যোগাযোগ করছে না।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
