ডিমের বাজারে উত্তাপ, বিপাকে ক্রেতারা

ডিমকে বলা হয় গরীবের প্রোটিন। মাছ-মাংসের দামে চড়াই উৎরাই থাকলেও অন্তত এই খাবার খেয়ে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারেন অনেকে। তবে এবার বেড়েছে ডিমের দামও। ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে এই দাম।
দুই সপ্তাহ ধরে ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে ফার্মের লাল ডিমের দর, কিন্তু এটি বাজারের হিসাব। পাড়া মহল্লার দোকানে এই অংক প্রায় দেড়শ টাকা। খোলস হালকা হওয়া, সাদা ফার্মের ডিমের দাম কিছুটা কম। অথচ, কয়েক মাস আগে বাজার ছিলো ১২০ টাকার আশপাশে।
জানা গেছে, সরবরাহে ঘাটতি নেই। তারপরও আসছে শীতে মুরগি যাওয়ার আশঙ্কায়, আগেভাগেই দাম বাড়িয়েছে পুরোনো চক্র।
এ বিষয়ে পোল্ট্রি খামারিদের অবশ্য চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই। এখানে প্রতিটি ডিম উৎপাদনের খরচ কম-বেশি সাড়ে ১০ টাকা। সাথে ফিড, ওষুধ, মুরগির বাচ্চা আর শ্রমিকের মজুরির ঝক্কি তো আছেই। তারপরও বেশি দর চাওয়ার সুযোগ নেই। কেননা এমন হলে ডিমই নেন না পাইকাররা।
দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির সময়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারাও। তারা বলছেন সবকিছুর সাথে ডিমের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাইকারদের বেধে দেয়া দামের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। একেক এলাকার ডিমের বাজারের নিয়ন্ত্রণ একেকজনের হাতে।
করপোরেট সিন্ডিকেট না ভাঙলে ১ নভেম্বর থেকে উৎপাদন স্থগিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন। মেস অথবা নিম্নবিত্তের হোটেলে তাই ডিম ছাড়া চলেই না। কিন্তু এখন সেই অভ্যাস ছাড়ার দশা। ইদানিং ভুনা বা ভাজা ডিমের দাম লাগাম ছাড়িয়েছে।