ঢাকা রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫, ৪ঠা কার্তিক ১৪৩২


কার্গো ভিলেজের আদ্যোপান্ত


১৮ অক্টোবর ২০২৫ ২১:০০

সংগৃহীত

বিমানবন্দর মানে শুধু যাত্রীদের জন্য নয়। এর পেছনে চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম—কার্গো। আর এই কার্গো কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র হলো কার্গো ভিলেজ। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে সব ধরনের পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্রেরণ করা হয়।

 

কার্গো ভিলেজ কী?

 

কার্গো ভিলেজ হলো বিমানবন্দরের একটি বিশেষ কমপ্লেক্স, যা পুরো কার্গো লজিস্টিক কার্যক্রমের জন্য দায়ী। এখানে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় ধরনের পণ্য পরিচালনা করা হয়। ভিলেজটি শুধু পণ্য গ্রহণের জায়গা নয়, বরং এটি পণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, নিরাপত্তা এবং দ্রুত প্রেরণের কেন্দ্রবিন্দু।

 

কার্গো ভিলেজে কী থাকে?

 

স্টোরেজ ও ওয়্যারহাউজ- যেখানে পণ্য অস্থায়ীভাবে রাখা হয়। তবে তাজা ও ভঙ্গুর পণ্য আলাদা হিমাগার বা নিয়ন্ত্রিত স্টোরেজে রাখা হয়। কাস্টমস ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা- যেখানে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, শুল্ক হিসাব, কাগজপত্র যাচাই এবং এক্স-রে স্ক্যানার ও নিরাপত্তা চেক করা হয়। লোডিং ও আনলোডিং জোন- এখানে বিমানে পণ্য লোড ও আনলোডের জন্য হ্যান্ডলিং মেশিন, ফর্কলিফ্ট ও কনভেয়ার বেল্ট ব্যবহার করা হয়। অফিস ও প্রশাসনিক ভবন- এখানে কার্গো অপারেটর, শিপিং কোম্পানি ও বিমান কর্তৃপক্ষের অফিস থাকে। আর এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে থাকে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারি, সীমিত প্রবেশাধিকার এবং রিমোট কন্ট্রোল ফায়ারফাইটিং রোবট, যেগুলো অগ্নিকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এখানে আরও বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন: হিমাগার, কনটেইনার ডিপো, বিশেষ বা বিপজ্জনক পণ্য হ্যান্ডলিং, ট্র্যাকিং ও ডকুমেন্টেশন সেন্টার।

 

 

কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা ঝুঁকি

 

বিমানবন্দরের ব্যস্ততম অংশগুলোর একটি হলো কার্গো ভিলেজ—যেখানে প্রতিদিন টন টন পণ্য ওঠানামা করে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটিই মাঝে মাঝে হয়ে ওঠে বিপদের কেন্দ্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কার্গো এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা নতুন করে ভাবাচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। এখানে থাকে ওয়্যারহাউজ, কনটেইনার টার্মিনাল, কাস্টমস চেকপয়েন্ট, ফ্রিজার রুম ও প্রশাসনিক অফিস। যেহেতু এখানে তেল, ব্যাটারি, রাসায়নিক দ্রব্য, ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে শুরু করে দ্রুত পচনশীল খাবার—সবই রাখা হয়, তাই আগুনের ঝুঁকিও তুলনামূলক বেশি।