ঢাকা শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫, ৪ঠা কার্তিক ১৪৩২


একমাসে ডাকসুর অর্জন-অগ্রগতি


১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১২:২৪

সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (ডাকসু) এক মাস পেরিয়ে গেছে। এরইমধ্যে নতুন কমিটি কাজও শুরু করেছে। তবে এক বছরে ৩৬ দফা ইশতেহার পূরণে যেভাবে এগোনো দরকার, সেই গতিতে কাজ আগাচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। 

 

শিক্ষার্থীদের প্রধান সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যের সংকট। সরজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে গিয়ে দেখা যায়, সদ্য রান্না করা খাবার স্যাঁতসেঁতে ও নোংরা পরিবেশে রাখা হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীরা জানান, এখনও খাবারে পোকা পাওয়া যায়।

 

হলটির জিএস মোখলেসুর রহমান জাবির বলেন, দীর্ঘদিনের পুরানো নিয়ম পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে হলের খাবারের দায়িত্বে থাকা ক্যাটারারকে পরিবর্তন করতে চাচ্ছি।

 

এদিকে অমর একুশে হলের খাবার নিয়ে শুরু থেকেই নানান অভিযোগ ছিল। তবে এখন সেই পরিস্থিতি কতটা বদলেছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, আগের চেয়ে এখন কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।

 

হলের ক্যান্টিনের ইজারাদার বলেন, অতীতে ছাত্রলীগ নেতাদের ফ্রি খাবার সরবরাহ করতে গিয়ে মান ধরে রাখা যায়নি। এখন কেউ ফ্রি না খাওয়ায় মান ভালো হচ্ছে। 

 

অন্যদিকে, এক মাসে ২টি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হয়েছে। শুধু অমর একুশে হলেই ২৮টি কক্ষে ১১২টি ফ্যান লাগানো হচ্ছে। এছাড়া, টিএসসিসহ ৫টি স্থানে নারীদের মেনস্ট্রুয়াল সুরক্ষায় ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় আবাসন সংকটের সমস্যা নিয়ে কতটা কাজ হচ্ছে তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, আবাসন সংকটের কোনো উন্নতি হয়নি। এর সঙ্গে ছাড়পোকার সমস্যাও রয়েছে। 

 

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ৩৬ দফা ইশতেহারে সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি ছিল। খাবার, চিকিৎসা, প্রশাসনিক জট নিরসনসহ মৌলিক সমস্যাগুলো নিয়ে সবার আগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রার্থীরা। তবে একমাসে সেই প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ হলো? 

 

ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, দুইমাসের মধ্যে ইশতেহারের অর্ধেকেরও বেশি পূরণ করার চেষ্টা করবো। তবে গত এক মাসে প্রশাসন কোনো কাজে সহযোগিতা করেনি। এমনকি হল পরিস্কারের কাজে অনেক হলের প্রভোস্ট বাধা দিয়েছে।  

 

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও অনেক ছোটবড় সমস্যায় জর্জরিত। নতুন ডাকসু কমিটির হাতে এখনও ১১ মাস রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বেশিভাগ প্রত্যাশা পূরণ হবে আশা শিক্ষার্থীদের।