ঢাকা শনিবার, ১১ই অক্টোবর ২০২৫, ২৭শে আশ্বিন ১৪৩২


ফরিদপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে খুন, স্বামী পলাতক


৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:১৯

সংগৃহীত

পারিবারিক কলহের জেরে ফরিদপুরে স্বামীর হাতে তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ভাটি লক্ষীপুর এলাকার তাদের ভাড়া বাসায় এই নৃশংস ঘটনা ঘটে।

 

নিহত স্ত্রীর নাম লিপি বেগম (৪৫)। তাকে হত্যা করার পর অভিযুক্ত স্বামী মো. শফিকুল ইসলাম কালা (৬০) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

 

লিপি বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা দ্রুত ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মূলত, স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার সন্দেহেই এই ঘটনা ঘটে।

 

নিহত লিপি বেগম এবং অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম কালার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তাদের ছেলে পনির ইসলাম (২৮) জানান, তার বাবা-মায়ের মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া হতো। গতকাল রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়, যার ফলস্বরূপ বাবা রাগ করে বাসা ছেড়ে চলে যান। পনির ইসলাম বলেন, ‘আজ সকালে বাবা বাসায় ফিরে এসে বলেন, জামাকাপড় দাও, আমি ঢাকা চলে যাব। জামাকাপড় নিতেই বাসায় আসছি। এই কথা বলে তিনি রুমে ঢুকে মাকে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে নিজের জামাকাপড় নিয়ে পালিয়ে যান।’

 

ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল তাদের নাতনি স্মৃতি আক্তার (১২)। তার বর্ণনা অনুযায়ী, ‘দাদা রুমে ঢুকে দাদিকে শীতের কাপড় দিতে বলেন। কাপড় নেয়ার পর দাদা দাদিকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি বাবলুর সঙ্গে কী করছো?’ এই বলে তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া লেগে যায়। একপর্যায়ে দাদা দাদিকে কোরআন শরীফ ছুঁয়ে বলতে বলেন যে তিনি কিছুই করেননি। দাদি কোরআন শরীফ ছুঁয়ে একথা বলতে রাজি হতেই হঠাৎ করে দাদা তার কোমর থেকে একটি ছুরি বের করে দাদির গলায় বসিয়ে দেন এবং পালিয়ে যান। আমি তখন চিৎকার করে উঠি।’

 

ঘটনার সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সদর হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় । ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক লিপি বেগম (৪৫) কে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে