নদীতে মাছ শিকারে নেমে ৮ জেলে আটক, নৌ পুলিশসহ আহত ৪

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ায় ৮ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। এসময় জেলেদের হামলায় মজুচৌধুরীঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মোবারক হোসেন এবং ওম প্রকাশ দে আহত হন। পুলিশের হাত থেকে পালাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মো. হেলাল ও মো. বাবলু নামে দুই জেলেও আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৪ টার দিকে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আটক জেলেদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মজুচৌধুরীঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নৌ-পুলিশ জানায়, ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণে মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে নৌ-পুলিশ নদীতে নিয়মিত পরিচালনা করে আসছে।
মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের কাটাখালী সংলগ্ন নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে জেলেরা পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা বৈঠা দিয়ে আঘাত করে কনস্টেবল মোবারক ও পোড়া মাটির চাক্কি নিক্ষেপ করে কনস্টেবল ওম প্রকাশকে আহত করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পুলিশ ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি জব্দ করে।
এসময় পালানোর সময় জেলে হেলাল নৌকা থেকে লাফ দিলে নৌকার প্রফেলারে (পাখা) আঘাত লেগে ডান পাড়েয় গোড়ালি ও বা পায়ের হাঁটুর নিচে কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। অপর আহত জেলে বাবলু নদীতে লাফ দিলে তার বা পায়ের কনুইয়ে নিচে আঘাত পায়। হেলালকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাবলুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
অভিযানে জেলেদের কাছ থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, প্রায় ২ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৪ টি কাঠের বৈঠা ও ১০ টি পোড়া মাটির চাক্কি জব্দ করা হয়।
লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আজিজুল হক বলেন, সরকারি কাজে বাধাসহ দুই সদস্য আহত এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। পরে আসামিদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।